বাংলাদেশের জন্য স্বস্তিই বয়ে এনেছে ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট কাউন্সিলের (আইসিসি) ফিউচার ট্যুর প্রোগ্রাম (এফটিপি)। আগামী চার বছরে (২০১৯-২০২৩) ৩৫টি টেস্ট খেলবে টাইগাররা। বিগ থ্রি’র পর সবচেয়ে বেশি ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ। এই সময়ে সাকিব-মুশফিকের দল সবমিলিয়ে ১২২টি আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলবে।
এফটিপিতে আসন্ন অন্যান্য টেস্ট খেলুড়ে দলগুলোর ম্যাচের সংখ্যা কমলেও বেড়েছে বাংলাদেশের। বর্তমান এফটিপিতে পাঁচ বছরে বাংলাদেশ ৩৩টি টেস্ট পাচ্ছে। অন্যদিকে এবারের চার বছরের মেয়াদেই আরো দুটি টেস্ট বেশি খেলবে সাকিবের দল।
ইংল্যান্ড এই চার বছরে সর্বোচ্চ ৪৬টি টেস্ট খেলবে। অস্ট্রেলিয়া খেলবে ৪০টি। এফটিপিতে ভারত বাংলাদেশের চেয়ে দুটি টেস্ট বেশি খেলবে (৩৭টি)।
দক্ষিণ আফ্রিকা বাংলাদেশের চেয়ে কম টেস্ট খেলবে। ২০১৯-২০২৩ মেয়াদে প্রোটিয়ারা খেলবে ৩২টি টেস্ট। শ্রীলঙ্কা এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজ খেলবে ২৯ টেস্ট। জিম্বাবুয়ে এবং নিউজিল্যান্ড সমান ২৮টি টেস্ট খেলবে; সংখ্যাটা বাংলাদেশের চেয়ে ৭ কম। অন্যদিকে জিম্বাবুয়ে খেলবে ১৭ টেস্ট।
বেশি টেস্ট খেলার সুযোগ পাচ্ছে না আইসিসির দুই নতুন টেস্ট সদস্য আফগানিস্তান ও আয়ারল্যান্ড। আফগানরা ১৬টি এবং আইরিশরা ১৩টি টেস্ট খেলবে।
চলতি বছর প্রথমবারের মতো ভারত সফর করে বাংলাদেম্ ২০১৯-২০ মৌসুমে ফের টেস্ট এবং ওয়ানডে সিরিজ খেলতে প্রতিবেশী দেশে সফর করবে টাইগাররা। অন্যদিকে ২০২২-২৩ মৌসুমে ভারত আসবে বাংলাদেশের মাটিতে।
নতুন এফটিপিতে বাংলাদেশ আগামী ২০১৯-২০২৩ মেয়াদে ৪৫টি ওয়ানডে এবং ৪২টি টি-টোয়েন্টি খেলবে। এই সময়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সর্বোচ্চ ৬২ এবং ভারত দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৬১টি ওয়ানডে খেলবে। ভারত সর্বোচ্চ ৬১টি টি-টোয়েন্টি এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজ দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৫৬টি টি-টোয়েন্টি খেলবে।