আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলে বেশ কয়েকটি বিস্ফোরণের ঘটনায় কমপক্ষে ৪০ জন নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে বেশ কয়েকজন। স্থানীয় কর্মকর্তারা বলছেন, সাম্প্রতিক সময়ে এটিকেই সবচেয়ে ভয়াবহ হামলা।
হামলার দায় এখনো কেউ নেয়নি। তালেবান জঙ্গিরা হামলায় জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করেছে বলে একটি গণমাধ্যম সংস্থা জানিয়েছে।
এই দিকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উপমুখপাত্র নাসরাত রহিমি এএফপিকে জানান, শিয়া তাবায়ান সাংস্কৃতিক কেন্দ্রকে লক্ষ্য করে এই হামলা হয়েছে। বিস্ফোরণের সময় সেখানে অনুষ্ঠান চলছিল। হতাহত ব্যক্তির সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলেও জানান তিনি।
ছোট দুটি বোমা বিস্ফোরণের পর বড় ধরনের বিস্ফোরণ হয় বলে জানান রহিমি।
রয়টার্সের খবরে আফগান ভয়েস এজেন্সির সাংবাদিক সৈয়দ আব্বাস হুসেনি জানান, বিস্ফোরণে তাঁদের একজন সংবাদকর্মী নিহত ও একজন আহত হয়েছেন।
গত কয়েক মাসে কাবুল হামলার অন্যতম লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হয়েছে। আফগান গোয়েন্দা সংস্থার চত্বরের কাছে গত শুক্রবারের আত্মঘাতী বোমা হামলায় ছয়জন বেসামরিক নাগরিক নিহত হন। হামলার দায় স্বীকার করে জঙ্গি দল আইএস।
আহত ব্যক্তিদের মধ্যে পাঁচজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানান কাবুলের ইশতিকলাল হাসপাতালের প্রধান সাবির নাসিব।
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মোহাম্মদ হাসান রেজায়ি হামলাস্থলে ছিলেন। প্রচণ্ড শব্দে বিস্ফোরণ হয় বলে তিনি জানান। তাঁর মুখ দগ্ধ হয়েছে বলেও জানান। আফগান ভয়েস এজেন্সির ফেসবুক পেজে দেখা যায়, হামলার পর ভবনের ভেতর আগুন ও ধোঁয়ায় ভরে যায়। সবাই সাহায্যের জন্য ছোটাছুটি শুরু করে।
গত নভেম্বর মাসে আফগান সম্প্রচারমাধ্যম সামশাদ টিভির কার্যালয়ে হামলা হয়। জঙ্গি দল আইএস এর দায় নেয়। ওই হামলায় কমপক্ষে একজন নিহত ও বেশ কয়েকজন আহত হয়।