আফগানিস্তানের জনগণের পাশে থাকার ঘোষণা দিয়ে পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল কামার জাভেদ বাজোয়া বলেছেন, আফগানিস্তানের পাশে থাকবে পাকিস্তান। আঞ্চলিক নিরাপত্তার জন্য দেশটিতে একটি স্থিতিশীল সরকার জরুরি।
মঙ্গলবার আফগানিস্তানের আট সদস্যের প্রতিনিধিদলের সঙ্গে আলোচনার পর পাকিস্তান সেনাবাহিনীর এক বিবৃতিতে এমনটাই জানানো হয়।
তালেবান নেতা ওয়াহিদুল্লাহ হাশিমি জানিয়েছেন, নতুন আফগানিস্তানে গণতন্ত্রের কোনও জায়গা থাকবে না। তালেবান শাসনে মূলত শরিয়া আইনের ওপরেই গড়ে উঠবে শাসন ব্যবস্থা।
তবে সেই ব্যবস্থা গত তালেবান শাসনের মতো হবে কি না, তা নিয়ে স্পষ্ট কোনও মন্তব্য করেননি হাশিমি।
তার দেয়া বক্তব্য বলছে, তালেবানের সর্বোচ্চ নেতা হাইবাতুল্লাহ আখুন্দযাদা সুপ্রিম লিডার হিসেবে সরকারের প্রধান হবেন। কিন্তু সম্ভবত তিনি প্রেসিডেন্ট হবেন না। প্রেসিডেন্ট করা হতে পারে আখুন্দজাদার ডেপুটিদের। এই মুহূর্তে আখুন্দজাদার তিনজন ডেপুটি আছেন।
মোল্লাহ ওমরের ছেলে মৌলভি ইয়াকুব, হাক্কানি নেটওয়ার্কের প্রধান সিরাজউদ্দিন হাক্কানি এবং দোহায় তালেবানের রাজনৈতিক প্রধান আবদুল গনি বারাদার।
বিশেষজ্ঞদের একাংশের বক্তব্য, তালেবান যে নতুন সরকার গঠন করতে চলছে, তার মডেল যেনো ইরানের মতোজ। সুপ্রিম লিডারের কাছে সকলে জবাবদিহি করতে বাধ্য থাকবে। তার নীচে থাকবেন প্রেসিডেন্ট এবং তার নীচে কাউন্সিল।
তালেবান মনে করছে, আফগান বাহিনীর সঙ্গে তালেবান যোদ্ধাদের মিশিয়ে একটি নতুন সেনাবাহিনী তৈরি করা সম্ভব। তলেবান গেরিলা যুদ্ধে পারদর্শী হলেও তাদের নেই কোনও বিমান বাহিনী। সারেন্ডার করা আফগান সেনাদের থেকেও দক্ষ অফিসারদের নতুন বাহিনীতে নেওয়ার কথা ভাবা হচ্ছে।