ফেনীর ফুলগাজী উপজেলায় বিচারপ্রার্থী এক নারীকে ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) ভবনে ডেকে নিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে ফুলগাজী সদর ইউপি চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক নুরুল ইসলামের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় গতকাল বুধবার রাতে ওই চেয়ারম্যানকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ফুলগাজী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হুমায়ুন কবীর জানান, চেয়ারম্যান নুরুল ইসলামকে রাতে ফুলগাজী থানা এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
ঘটনার বর্ণনা দিতে গিয়ে হুমায়ুন কবির বলেন, বুধবার বিকেলে বিচারপ্রার্থী ওই গৃহবধূকে মীমাংসার কথা বলে মুঠোফোনে ইউনিয়ন পরিষদে ডাকেন চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম। পরে কাগজপত্রসহ ওই নারী তার পঞ্চম শ্রেণিতে পড়ুয়া ভাগ্নেকে নিয়ে ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে যান। তখন নুরুল ইসলাম কৌশলে ওই শিশুকে টাকা দিয়ে দোকানে পাঠিয়ে দেন এবং ওই নারীকে ধর্ষণ করেন।
ওসি আরও বলেন, বুধবার বিকেলে স্থানীয়রা ওই নারীকে উদ্ধার করে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। অবস্থা গুরুতর হওয়ায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে ফেনী আধুনিক সদর হাসপাতালে পাঠান।
এ ঘটনায় ওই নারীর শাশুড়ি হাজেরা বেগম বাদি হয়ে চেয়ারম্যান নুরুল ইসলামের বিরুদ্ধে ফুলগাজী থানায় মামলা করেন।
এ বিষয়ে ফেনী সদর হাসপাতালের গাইনি বিশেষজ্ঞ তাহেরা খাতুন রোজি জানান, রাতেই ওই নারীর ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন হয়। আরও কিছু পরীক্ষা বাকি আছে। সব পরীক্ষা শেষে সিভিল সার্জন জানাবে। তবে প্রাথমিকভাবে কী আলামত পাওয়া গেছে সে বিষয়ে কোনো জবাব দেননি তিনি।
স্থানীয়রা জানান, এ ধরনের বহু অপকর্মের সঙ্গে জড়িত নুরুল ইসলাম। আসলে ক্ষমতার দাপটে অনেকেই মুখ খুলতে সাহস পায় না।
এদিকে ফেনী সদর হাসপাতালে বিচারপ্রার্থী ওই নারীর স্বামী নুরুল ইসলামের সর্বোচ্চ শাস্তি দাবি করেছেন।