৫৫ বছর ধরে বৈশ্বিক শিরোপার জন্য ইংল্যান্ডের হাহাকার। ইতালি চারবার বিশ্বকাপ বগলদাবা করলেও ১৯৬৮-র পর ৫৩ বছর ধরে দেখা নেই ইউরোর। হোম না রোম রবে তাই মুখর ছিল ইউরোপ। প্রস্তুত ছিল লন্ডনের ওয়েম্বলি স্টেডিয়াম।
ইউরো ২০২০ তো বটে, ইউরোর ফাইনালে সবচেয়ে কম সময়ে গোল দিলেন লুক শ! রেফারির ঘড়িতে সময় দুই মিনিটেরও কম। গতিময় ফুটবলের প্রদর্শনে ইউরোর ফাইনালে দর্শক নড়েচড়ে বসার আগেই ইতালির সর্বনাশ।
রবার্তো মানচিনির ইতালি বদলে যাওয়া দল। বিশ্বকাপে উত্তীর্ণ হতে যারা ব্যর্থ, তারা ইউরোপিয়ান শ্রেষ্ঠত্ব থেকে নিঃশ্বাস দূরত্বে। হাল ছাড়েনি ওরা। প্রথমার্ধে পিছিয়ে টানেলে গেলেও ফিরে এসে শানায় আক্রমণ। ৬৭ মিনিটে ফল আসে লিওনার্দো বনুচ্চির গোলে। জমে ওঠে মহারণ।
নির্ধারিত সময়ের বাকীটুকুতে আক্রমণ, পাল্টা আক্রমণ সবই হয়েছে, ছড়িয়েছে উত্তাপ, হয়নি শুধু গোল। অতিরিক্ত ত্রিশ মিনিটেও সুরাহা না হলে ম্যাচ গড়ায় ট্রাইব্রেকারে। প্রথম শটে গোল হয় দুই দলেরই। এরপর ইংলিশ গোলরক্ষক ইতালির দুটো শট ফেরায়। ইংল্যান্ডের একটি প্রতিহত হয় বারে, একটি ফেরান ইতালিয়ান কিপার। শাকার শেষ শটটি ফিরিয়ে জিয়ানলুইজি ডনোরুমা ইতালিকে এনে দেন আরাধ্য শিরোপা।
ফুটবলের জন্মদাতা ইংল্যান্ড। হোমের দর্শকদের কাঁদিয়ে ৫৩ বছর পর রোম মাতলো ইউরো উৎসবে। ইতালির নীল বেদনা পরিণত হলো রঙিন সুখে।