বিশ্বের একমাত্র উড়ন্ত হাসপাতাল ‘অরবিস’ বিনামূল্যে চিকিৎসাসেবা ও প্রশিক্ষণ দেয়ার জন্য এখন চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবস্থান করছে। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরের দিকে বিমানটি চট্টগ্রামে অবতরণ করে।
১৯ নভেম্বর রবিবার থেকে ৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত এই হাসপাতাল শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবস্থান করে জটিল চক্ষু রোগীদের বিনামূল্যে চিকিৎসাসেবা ও চিকিৎসকদের প্রশিক্ষণ দেবে।
আজ শুক্রবার চট্টগ্রাম নগরীর পাহাড়তলী জাকির হোসেন সড়কের ইমরান সেমিনার হলে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলন এসব তথ্য জানানো হয়। চট্টগ্রাম চক্ষু হাসপাতাল ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্র এবং অরবিস ইন্টারন্যাশনাল যৌথভাবে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে।
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের আমন্ত্রণে এবং ন্যাশনাল আই কেয়ার ও চট্টগ্রাম চক্ষু হাসপাতালের সার্বিক সহযোগিতায় হাসপাতালটি বাংলাদেশে এসেছে। আত্মপ্রকাশের পর অরবিস ১৯৮৫ সালে প্রথম বাংলাদেশে এসেছিল। এই পর্যন্ত দশম বারের মতো বাংলাদেশে ও চতুর্থবারের মতো চট্টগ্রাম সফর করলো।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, এবার ৮বিভাগে ৩১৫ জন চক্ষু বিশেষজ্ঞ, নার্স ও বায়োমেডিক্যাল টেকনেশিয়ানকে প্রশিক্ষণ দেবে অরবিস। এ ছাড়া পাহাড়তলী চক্ষু হাসপাতালের মাধ্যমে চিহ্নিত ২০০ জন চক্ষু রোগীর পরীক্ষা ও ১২০ জন রোগীর চোখের অস্ত্রোপচার করা হবে। সম্মেলনে মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন চট্টগ্রাম চক্ষু হাসপাতালের ম্যানেজিং ট্রাস্টি অধ্যাপক ডা. রবিউল হোসেন।
বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন অরবিস ইন্টারন্যাশনালের গ্লোবাল মেডিক্যাল ডিরেক্টর ডা. জনাথন লর্ড, ফ্লাইং আই হসপিটালের ডিরেক্টর জে বার্গিজ ও কান্ট্রি ডিরেক্টর ডা. মুনীর আহমেদ।