আজ চূড়ান্ত হয়েছে নারী এশিয়ান কাপ ফুটবলের বাছাইপর্বের গ্রুপিং। জর্ডান ও ইরানের সাথে গ্রুপ ‘জি’–তে পড়েছে বাংলাদেশ। গ্রুপচ্যাম্পিয়ন দল আগামী বছর অনুষ্ঠিতব্য এশিয়ান কাপে খেলার টিকিট পাবে। জানুয়ারিতে ভারতে আয়োজিত হবে টুর্নামেন্টটি।
মেয়েদের লীগ শেষে জাতীয় দলের ক্যাম্প আরম্ভ হবে। সামনে সাবিনাদের জন্য কঠিন পরীক্ষা অপেক্ষা করছে। তবে ইরান ও জর্ডান অনেক বেশি কঠিন প্রতিপক্ষ হলেও এই গ্রুপ থেকে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন কোচ গোলাম রাব্বানী ছোটন। ‘ইরান ও জর্ডান আমাদের তুলনায় অনেক বেশি শক্তিশালী। তবে আমরাও ভালো দল। যদিও এই গ্রুপ থেকে চ্যাম্পিয়ন হওয়া খুব কঠিন, তারপরও আমাদের আশা আছে’, বলেন ছোটন।
মেয়েদের ফুটবল র্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশ ১৩৭ নম্বরে। অন্যদিকে জর্ডান ও ইরানের অবস্থান যথাক্রমে ৫৯ ও ৭৭ নম্বরে।
তবে সাবিনা খাতুনদের জন্য কিছুটা বাড়তি সুবিধা হিসেবে কাজ করবে ঘরের মাঠে বাছাইপর্ব খেলার সুযোগ। বাছাইপর্বে নিজেদের গ্রুপের খেলা দেশের মাটিতে আয়োজনের জন্য আবেদন করে সফল হয়েছে বাফুফে। ফিফা কাউন্সিলর ও বাফুফে সদস্য মাহফুজ আক্তার কিরণ এব্যাপারে বলেন, ‘এশিয়ান কাপ বাছাইয়ে আমাদের গ্রুপের খেলা আমরা বাংলাদেশে আয়োজনের আবেদন করেছিলাম। আবেদনে সায় দিয়ে এএফসি আমাদের ভেন্যু দিয়েছে। আশা করছি মেয়েরা ঘরের মাঠে ভালো খেলবে।’
নারী এশিয়ান কাপের চূড়ান্ত পর্বে খেলবে মোট ১২টি দল। স্বাগতিক ভারতের সঙ্গে টূর্নামেন্টের বর্তমান চ্যাম্পিয়ন জাপান, রানার্সআপ অস্ট্রেলিয়া ও তৃতীয় স্থান অধিকারী চীন সরাসরি খেলবে এশিয়ান শ্রেষ্ঠত্বের লড়াইয়ে। বাকি আটটি দলকে বাছাইপর্ব পেরিয়ে আসতে হবে। বাছাইপর্ব খেলতে যাওয়া সর্বমোট ২৮টি দলকে আটটি গ্রুপে ভাগ করা হয়েছে। তিন দল নিয়ে চারটি গ্রুপ ও চার দল নিয়ে চারটি গ্রুপ । বাছাইপর্ব শুরুর সম্ভাব্য তারিখ সেপ্টেম্বর।