সিরিয়ায় তুর্কি বাহিনীর মোকাবিলায় কুর্দি বাহিনী ওয়াইপিজিতে যোগ দিতে যাচ্ছেন তিন ব্রিটিশ নাগরিক। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য ইন্ডিপেন্ডেন্ট এর এক প্রতিবেদন থেকে একথা জানা যায়। প্রতিবেদনে বলা হয়, ওই ব্রিটিশ তিন নাগরিকের একজনের নাম হুয়াং লি। তিনি ম্যানচেস্টারে বাস করেন। তবে বাকি দুজনের নাম পরিচয় জানা যায়নি। এছাড়া একজন জার্মান ও একজন মার্কিনিও যোগ দিতে পারেন বলে শোনা যাচ্ছে।
ওয়াইপিজি থেকে প্রকাশিত এক ভিডিওবার্তায় দেখা যায় ইংরেজিতে একজন বলছেন যে, ‘আমরা আফরিনে গিয়ে লড়াই করতে প্রস্তুত। আমরা তুরস্কের আগ্রাসনকে প্রতিহত করবো। আমরা অনেকদিন ধরে প্রশিক্ষণ নিচ্ছি। এখন আমরা প্রস্তুত।’
সিরিয়ার আফরিনে তুরস্কের স্থলবাহিনীর অভিযান পঞ্চম দিনে গড়িয়েছে। তুর্কি বাহিনীর লক্ষ্য যুক্তরাষ্ট্র সমর্থিত কুর্দি ওয়াইপিজি যোদ্ধাদের উৎখাত করা। ওয়াইপিজি যোদ্ধাদের তুরস্ক কুর্দি বিদ্রোহীদের মিত্র হিসেবে বিবেচনা করে। কুর্দিরা কয়েক দশক ধরে তুরস্কের বিরুদ্ধে সশস্ত্র সংগ্রাম করছে।
কুর্দিদের সমর্থন দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। তারা মার্কিন জোটের আইএস বিরোধী অভিযানে সহায়তা করেছে। অপরদিকে তুরস্ক তাদের সন্ত্রাসী গোষ্ঠী হিসেবে বিবেচনা করে। অপারেশন অলিভ ব্রাঞ্চ নামে চলমান কুর্দিবিরোধী অভিযানে এখন পর্যন্ত ২৭ জন বেসামরিক নিহত হয়েছেন। প্রাণ হারিয়েছেন দুই পক্ষেরই অনেক সেনা।
আফরিন থেকে প্রাণ বাঁচাতে পালিয়েছে অন্তত পাঁচ হাজার মানুষ। বিরুপ আবহাওয়া ও কুর্দি সেনাদের বাধায় কিছুটা ধীরগতিতে তুরস্ক আগাচ্ছে বলে জানায় ইন্ডিপেন্ডেন্ট।
সিরিয়ান ডেমোক্রেটিক ফোর্সের মুখপাত্র মুস্তাফা বলি বলেন, ওয়াইপিজি তুর্কি বাহিনীর মোকাবিলা করছে। তাদের কাছ থেকে এখনও অনেক গ্রামের দখল ছিনিয়ে পারেনি তুরস্ক।
আইএস মোকাবিলায় মার্কিন সমর্থিত এসডিএফ বাহিনীর মূল শক্তিই ছিল ওয়াইপিজি।
কুর্দি বাহিনীতে যোগ দিতে অনেক বিদেশি নাগরিকই সিরিয়ায় পাড়ি জমায়। ওয়াইপিজির হয়ে লড়াই করে দেশে ফিরে আসা ব্রিটিশ মেসার গিফর্ড বলেন, ‘এটা যথেষ্ঠ চিন্তার কারণ। আফরিন এখন ভিন্ন। তারা এখন আইএসের বিরুদ্ধে লড়াই করছে না। বরং একটি ন্যাটো সদস্যের সঙ্গে লড়াইয়ে তারা।’