ম্যাচের ১৯তম ওভারে জশপ্রীত বুমরাহকে তুলোধুনো করে ২০ রান তুলেছিলেন ডোয়াইন ব্রাভো। অবশ্য শেষ বলে ফিরেছেন নিজেই। শেষ ওভারে সাত রানের পুঁজি নিয়ে মুম্বাই ইন্ডিয়ানসকে বাঁচানোর দায় চেপেছিল বাংলাদেশি পেসার মুস্তাফিজুর রহমানের ওপর। পারেননি কাটার মাস্টার। চেন্নাই সুপার কিংস এক উইকেটের শ্বাসরুদ্ধকর জয় পেয়েছে।
চেন্নাই সুপার কিংসের বিপক্ষে এ ম্যাচে মুস্তাফিজ চার ওভার বল করেছেন। উইকেট পেয়েছেন একটি। ম্যাচে একটি ক্যাচও নিয়েছেন বাঁহাতি এই পেসার। তবে যে হারে রান দিয়েছেন সেটাই একটু অপরিচিত মুস্তাফিজের সঙ্গে। চার ওভারে ৩৯ রান দেওয়া কাটার মাস্টার ওভার প্রতি রান গুনেছেন ১০.১৭ গড়ে।
শনিবারের রাতে মুস্তাফিজের হাতে রোহিত শর্মা বল তুলে দিয়েছিলেন দ্বিতীয় ওভারেই। সে ওভারে নয় রান দেওয়ার পর অনেকক্ষণ বল হাতেই আর দেখা মেলেনি মুস্তাফিজের। ১২তম ওভারে আবার ফিরে এসে শেষ বলে ফিরিয়েছেন রবীন্দ্র জাদেজাকে। মুস্তাফিজের বলে যাদবের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরেছেন এই অলরাউন্ডার।
প্রথমে ব্যাট করা বর্তমান শিরোপাধারীরা দুই ‘পান্ডিয়া’ ভাইয়ের ব্যাটে চ্যালেঞ্জিং সংগ্রহ প্রায়। কুনাল পান্ডিয়া (৪১*) ও হার্দিক পান্ডিয়ার (২২*) সঙ্গে সুরিয়াকুমার যাদব(৪৩) আর ইশান কিশানের (৪০) ব্যাটে ভর করে ১৬৫ রানের পুঁজি তোলে স্কোরকার্ডে।
ব্যাট হাতে অবদান রাখার পাশাপাশি হার্দিক বল হাতেও তুলে নেন তিন উইকেট। ছোট পান্ডিয়ার সঙ্গে মায়াঙ্ক মারকান্দের তিন উইকেট শিকারে চেন্নাইয়ের তরী ছুটছিল পরাজয়ের বন্দরেই।
সেখান থেকেই ম্যাচে একা লড়ে ব্রাভো (৬৮) গড়ে দিয়েছেন জয়ের ভিত। সেই ভিতে দাঁড়িয়ে আহত হয়ে মাঠের বাইরে চলে গেলেও (২৪) অপরাজিত ইনিংস খেলে দলকে জয়ে এনে দিয়েই মাঠে ছেড়েছেন কেদার। এক উইকেটের দারুণ জয় পাওয়া ম্যাচে সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কারটা তুলে দেয়া হয় ব্রাভোর হাতেই।