তীব্র সরকারবিরোধী বিক্ষোভ দেখিয়েছে ইরানে। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির জেরে এই বিক্ষোভ করে দেশটির জনগণ। বিক্ষোভ সামাল দিতে বিভিন্ন শহর থেকে কমপক্ষে ৫২ বিক্ষোভকারীকে আটক করেছে পুলিশ।
ইরানের রাজধানী তেহরান সহ কেরমানশাহ, রাশত, ইস্পাহান এবং কোমা শহরে হাজার হাজার মানুষ রাস্তায় নেমে এসে বিক্ষোভে যোগ দিয়েছেন।
গতকাল বৃহস্পতিবার দেশটির দ্বিতীয় জনবহুল শহর উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় মাশহাদে প্রথমে বিক্ষোভ শুরু হয়, পরে বিভিন্ন শহরে ছড়িয়ে পড়ে।
পরে শুক্রবার বিভিন্ন শহরের সরকার বিরোধী বিক্ষোভ থেকে অর্ধশতাধিকের মতো বিক্ষোভকারীকে আটক করে আইনশৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনী।
ভোগ্যপণ্যের উচ্চমূল্যের বিরূদ্ধে এই আন্দোলন শুরু হলেও, সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতার শাসন আর সরকারি নীতিমালার প্রতিবাদেও সরব ছিলেন বিক্ষোভকারীরা।
বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, সিরিয়া যুদ্ধে কিভাবে মার্কিন আগ্রাসনের বিরূদ্ধে ইরান কৌশলগত জয় পাবে, তা নিয়েই সরকারের সব চিন্তা-ভাবনা। জনগণের কথা কিছুই ভাবছেন না প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি।
বিক্ষোভকারীরা ‘জনগণ ভিক্ষা করছে, নেতারা ঈশ্বরের মতো আচরণ করছে’ জাতীয় স্লোগান দেন। এছাড়া অনেক বিক্ষোভকারী বহির্বিশ্বে ইরানের হস্তক্ষেপের বিষয়েও ক্ষোভ জানিয়েছে।
মাশহাদ শহরে অনেককে ‘গাজা নয়, লেবানন নয়, আমার জীবন ইরানের জন্য’ স্লোগান দিতে দেখা গেছে। অনলাইনে প্রকাশিত বেশ কয়েকটি ভিডিওতে বিক্ষোভকারীদের ‘সিরিয়া ছাড়, আমাদের নিয়ে ভাবো’ বলতে শোনা গেছে।
এদিকে, ধর-পাকড়ের ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। ইরানিদের মৌলিক অধিকার নিশ্চিত এবং দেশটিতে চলমান দুর্নীতি দমনে অন্যান্য রাষ্ট্রকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছে, ওয়াশিংটন।
ইরানে ২০০৯ সালে বিতর্কিত নির্বাচনের পর এবারই সবচেয়ে বড় বিক্ষোভ হলো।