দুর্দান্ত জয়টা মুশফিক উৎসর্গ করলেন ছেলে মায়ানকে

0
মুশফিক

দানবীয় এক ইনিংস খেলে বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টি ইতিহাসে রেকর্ড জয়ের নায়ক বাংলাদেশের এই উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান। অবিশ্বাস্য এই জয় তিনি উৎসর্গ করলেন ছেলে মোহাম্মদ শাহরোজ রহিম মায়ানকে। লিটন দাসের সঙ্গে দুর্দান্ত শুরু এনে দিয়ে তামিম ইকবাল যখন দলীয় ১০০ রানে সাজঘরে ফিরলেন, তখনই ক্রিজে নামেন মুশফিক। বাংলাদেশের হাতে তখনও বাকি ১০.৩ ওভার। ৩০ বছর বয়সী এই ব্যাটসম্যান একা হাতে তুলে নিলেন দায়িত্ব। মাত্র ৩৫ বল খেলেছেন তিনি, উপযুক্ত সঙ্গ পেয়েছেন সৌম্য সরকার ও মাহমুদউল্লাহর কাছ থেকে।
মুশফিক
অবশ্য ১৮ ও ১৯তম ওভারে মাহমুদউল্লাহ ও সাব্বির রহমান আউট হলে বেঙ্গালুরু হারের ভূত যেন ফিরে আসছিল। সেই ভূতকে মাটিচাপা দিলেন তিনি খুব সহজেই। শেষ ওভারে দরকার ছিল ৯ রান। এবার ক্রিজে মাহমুদউল্লাহ নয়, পেয়েছিলেন মেহেদী হাসান মিরাজকে। তাকে ব্যাট করতেই দিলেন না মুশফিক। একাই চার বল খেলে প্রয়োজনীয় রান তুলে নিলেন এবং রেকর্ড জয়ের ইতিহাস গড়লেন এই ডানহাতি ব্যাটসম্যান।

ছেলের সঙ্গে মুশফিকতৃতীয় হাফসেঞ্চুরিকে ক্যারিয়ার সেরা ইনিংস বানালেন ৭২ রানে অপরাজিত থেকে। গত ৫ ফেব্রুয়ারি প্রথমবার বাবা হওয়া মুশফিকের উদযাপন ছিল দেখার মতো। মিডউইকেটে থিসারা পেরেরার নিচু ফুল টস ফ্লিক করে ব্যাট ঘুরালেন, সিঙ্গেল নেওয়ার পর মাথায় দুই হাত ঠেকিয়ে নাগিন হয়ে গেলেন। তার দংশনে ততক্ষণে নীল লঙ্কানরা।

বাংলাদেশ জিততে ভুলে গেছে এমন অপবাদ ঘুচিয়ে দিলেন মুশফিক, ‘এই জয়ের জন্য মরিয়া ছিল বাংলাদেশ। চাপ সামাল দিতে পারায় কৃতিত্ব ব্যাটসম্যানদের। লিটন ও তামিম যেভাবে আমাদের সহায়তা করেছে, সেটা অসাধারণ। এই ট্র্যাকে ব্যাট করে ভালো লেগেছে।’ অবিশ্বাস্য এই জয় উৎসর্গ করলেন তিনি ছোট্ট মায়ানকে, ‘আমার ছেলেকে এই জয় উৎসর্গ করলাম। তার বয়স কেবল ৩৫ দিন, জেতাটা ছিল খুব গুরুত্বপূর্ণ। হালকা চোট লেগেছে, আশা করি পরের ম্যাচে ঠিক হয়ে যাবে।’

২১৫ রানের টার্গেটেও জয়ের আত্মবিশ্বাস ছিল মাহমুদউল্লাহর মনে। জাতীয় দলের অধিনায়ক হিসেবে প্রথম জয়ের পর উচ্ছ্বসিত এই অলরাউন্ডার বলেছেন, ‘ম্যাচটা ছিল শ্বাসরুদ্ধকর। প্রথম ইনিংসে বোলাররা চেষ্টা করেছে, কিন্তু এটা ছিল ব্যাট করার জন্য ভালো উইকেট। ফল আমাদের পক্ষে এসেছে, এটা দারুণ। সত্যি বলছি, শুরু থেকে আমাদের মনে জয় উঁকি দিচ্ছিল। তামিম ও লিটন দারুণ শুরু এনে দিয়েছিল আমাদের। আর মুশি ছিল অবিশ্বাস্য। আমাদের জন্য অনুপ্রেরণাদায়ক।’ ওপেনিংয়ে লিটনকে নামানোর কারণ জানালেন তিনি, ‘আমরা জানতাম তারা প্রথম বা দ্বিতীয় ওভার হয়তো আকিলাকে দিয়ে করাবে, এজন্য লিটনকে টপ অর্ডারে পাঠিয়েছি।’