বসফরাস প্রণালি ও মারমারা সাগরের ঢেউ ক্রমেই উত্তাল হয়ে উঠছে। যে কোনো সময় তছনছ হয়ে যেতে পারে তুরস্কের রাজনীতির চিত্র। বিশেষ করে প্রেসিডেন্ট পদে আগাম নির্বাচন ঘিরে রাজনীতিতে নানা মেরুকরণ শুরু হয়েছে। এতে ভবিষ্যতে তুর্কি ক্ষমতার মসনদ কারা নিয়ন্ত্রণ করতে যাচ্ছেন তা অনুমান করাও বিশ্লেষকদের পক্ষে কঠিন হয়ে পড়েছে।
সর্বেশেষ জানা যাচ্ছে, বর্তমান প্রেসিডেন্ট এরদোগানকে ঠেকাতে একাট্টা বিরোধী শক্তিগুলো। এক্ষেত্রে স্যেকুলার ও ইসলামী দলগুলো এক কাতারে আসছে। তবে প্রেসিডেন্ট পদে আলাদা ভাবে লড়লেও পার্লামেন্ট ইলেকশনে জোটগতভাবে লড়বে সিএইচপি,IYI- ইয়ি পার্টি, সাদাত ও Democratic Party (DP)। অর্থাৎ এই চারটি দল এখন চেষ্টা করতেছে এরদোগান প্রেসিডেন্ট হলেও যাতে পার্লামেন্টে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পায়। আর তাতেই এরদোগানকে প্যাচে আটকানো যাবে। আর প্রেসিডেন্সি ভোট যদি ২য় রাউণ্ডে চলে যায় তাহলে এই দলগুলো একক প্রার্থীকে সাপোর্ট দিবে এরদোগানকে হারানোর জন্য।
সাদাত পার্টির এমন সিদ্ধান্তে ইসলামপন্থী সমর্থকদের মধ্যেও কিছুটা মতবিরোধ রয়েছে। সাদাত পার্টির প্রতি জোরালো সমর্থন সত্ত্বেও তাদের নির্বাচনী পলিসি এবং এরদোগান ঠেকাও নীতির জোটগত কৌসলকে অনেকে আত্মঘাতি মনে করছেন। তাদের যুক্তি- ধর্মনিরপেক্ষবাদীরা কৌশলে ইসলামপন্থীদের সরাতে কূটকৌশল করছে।
তবে অনেকে সাদাত পার্টির এমন নির্বাচনি কৌশলকে ইতিবাচক হিসেবেই দেখছেন। কেননা, বর্তমানে সাদাত পার্টি জনসমর্থনের দিক থেকে সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয় দল। অনেকের মতে, ক্ষমতার হাতছানি সাদাত পার্টির দুয়ারে। কৌশল অবলম্বন করতে পারলেই সমূহ সম্ভাবনা সাদাত পার্টির।
অন্যদিকে বর্তমান ক্ষমতাসীন একে পার্টির অবস্থান একেবারে নড়বড়ে নয়। তবে বিরোধী শক্তিগুলো একজোট হয়ে যাওয়ায় কিছুটা হলেও হিমসিম খেতে হচ্ছে তাদেরকে।