বায়ার্নকে হারিয়ে সেমিফাইনালের পথে রিয়াল মাদ্রিদ

0
রিয়াল মাদ্রিদ

চ্যাম্পিয়নস লিগে দুরন্ত রিয়াল মাদ্রিদ। বিশেষ করে দলের সেরা তারকা ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর প্রতি ম্যাচে গোল শঙ্কিত করে তোলে প্রতিপক্ষকে। চ্যাম্পিয়নস লিগ সেমিফাইনালের প্রথম লেগের ম্যাচের আগেও বায়ার্ন মিউনিখ শিবিরের প্রধান দুশ্চিন্তা ছিল রোনালদোকে ঘিরে। তবে পর্তুগিজ এই তারকা গোল না পেলেও যে রিয়াল মাদ্রিদ জয় তুলে আনতে পারে, সেটাই দেখা গেল ম্যাচটিতে। দলের সেরা তারকার টানা ১১ ম্যাচ পর গোলশূণ্য থাকার রাতেও ২-১ ব্যবধানে ম্যাচ জিতে নিয়েছে রিয়াল শিবির।

ম্যাচের প্রথম মিনিটেই এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ পায় বায়ার্ন। কিন্তু সুযোগ তারা কাজে লাগাতে পারেনি। ম্যাচের দশ মিনিটে বায়ার্ন শিবিরের জন্য দুঃসংবাদ হয়ে আসে রোবেনের ইনজুরি। তাঁর পরিবর্তে মাঠে নামেন থিয়াগো আলকান্তারা।

২৪ মিনিটে ডিবক্সের সামান্য ভেতর থেকে কারভাহালের দ্রুত গতির শট মুঠোবন্ধী করেন বায়ার্ন গোলকিপার। ২৮ মিনিটে বায়ার্নের হয়ে প্রথম গোলের দেখা পান জার্মান রাইট ব্যাক জশুয়া কিমিচ। মাঝমাঠ থেকে হামেস রদ্রিগেজের বাড়ানো বল থেকে ডান পাশ দিয়ে তীব্র গতিতে ডিবক্সে ঢুকে নিজেই গোলমুখে শট নেন।

৩৬ মিনিটে জেরাম বোয়েটাং ইনজুরিতে পড়লে আবারো খেলোয়াড় বদল করতে হয় বায়ার্নকে। যার ফলে মানসিকভাবে কিছুটা পিছিয়ে পড়ে দলটি। এই সুযোগটাই কাজে লাগায় রিয়াল শিবির। প্রথমার্ধের একেবারে শেষ সময়ে ডিবক্সের বাইরে থেকে অসাধারণ শটে গোল করে রিয়ালকে ম্যাচে ফেরান মার্সেলো। ফলে ১-১ সমতায় বিরতিতে যায় দু’দল।

বিরতির পর ইস্কোর পরিবর্তে অ্যাসেন্সিওকে মাঠে নামান কোচ জিনেদিন জিদান। তার ফলও সাথে সাথে পান তিনি। ৫৭ মিনিটে কাউন্টার অ্যাটাক থেকে ভাস্কুয়েজের কাছ থেকে বল পেয়েই গোল করেন অ্যাসেন্সিও। ৮৮ মিনিটে আবারো গোলমুখে গিয়ে খেই হারিয়ে ফেলেন লেভেন্ডোস্কি। ফলে গোলবঞ্চিত হন তিনি।

২-১ গোল ব্যবধানের জয় নিয়েই ম্যাচ শেষ করে রিয়াল শিবির। দুইটি অ্যাওয়ে গোল দিয়ে বেশ নির্ভারই আছে রিয়াল শিবির। বড় কোনো অঘটন না ঘটলে নিজেদের মাঠে দ্বিতীয় লেগের জয় নিয়েই ফাইনাল নিশ্চিত করবে জিদান শিষ্যরা।