আজ রবিবার রংপুরে মাজারের খাদেম রহমত আলী হত্যা মামলার রায় ঘোষণা করা হয়। রবিবার যুক্তিতর্ক শেষে রংপুরের বিশেষ জজ নরেশ চন্দ্র সরকার এ আদেশ দেন বলে সরকারি কৌঁসুলি রথীশ চন্দ্র ভৌমিক নিশ্চিত করেছেন। এ মামলায় অভিযোগপত্রভুক্ত ১৩ আসামির মধ্যে ১১ জন আসামি গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে আছেন। তাঁদের রবিবার সকালে কড়া নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে আদালতে হাজির করা হয়। এঁরা হলেন জঙ্গি সংগঠন জেএমবির রংপুর অঞ্চলের কমান্ডার মাসুদ রানা ওরফে মামুন ওরফে মন্ত্রী (৩৩), সদস্য ইছাহাক আলী (৩৪), লিটন মিয়া ওরফে রফিক (৩২), সাখাওয়াত হোসেন ওরফে রাহুল (৩০), আবু সাঈদ (৩০), তৌফিকুল ইসলাম সবুজ (৩৫), সরওয়ার হোসেন সাবু ওরফে মিজান (৩০), সাদাত ওরফে রতন মিয়া (২৩), জাহাঙ্গীর হোসেন ওরফে রাজীব গান্ধী (২৬), বাবুল আখতার ওরফে বাবুল মাস্টার (৩৫) এবং উত্তরাঞ্চলের কমান্ডার বিজয় ওরফে আলী ওরফে দর্জি (৩০)। পলাতক দুই আসামি হলেন রাজীবুল ইসলাম মোল্লা ওরফে বাদল ওরফে বাঁধন (২৫) ও চান্দু মিয়া (২০)।
সরকারি কৌঁসুলি রথীশ চন্দ্র আরও জানান, গত ১৯ ফেব্রুয়ারি মামলার তিন তদন্ত কর্মকর্তার সাক্ষ্য দেয়ার মধ্য দিয়ে এ মামলার সাক্ষ্য গ্রহণ শেষ হয়ে যায়। ৫২ সাক্ষীর মধ্যে ৪৬ জনের সাক্ষ্য নেয়া হয়।
আদালত সূত্রে জানা যায়, মামলার ১৩ আসামির মধ্যে মাসুদ রানা ওরফে মামুন ওরফে মন্ত্রী, ইছাহাক আলী, লিটন মিয়া ওরফে রফিক এবং সাখাওয়াত হোসেন ওরফে রাহুলকে রংপুরে জাপানি নাগরিক কুনিও হোশি হত্যা মামলায় গত বছরের ২৮ ফেব্রুয়ারি মৃত্যুদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত।
প্রসঙ্গত, রংপুরের কাউনিয়া উপজেলার মধুপুর ইউনিয়নের চৈতার মোড়ে মাজারের খাদেম রহমত আলীকে (৬০) ২০১৫ সালের ১০ নভেম্বর রাতে কুপিয়ে ও গলা কেটে হত্যা করা হয়।