মায়ানমারের রোহিঙ্গা সংকটের জন্য যারা দায়ী তাদের জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে অবশ্যই এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত দরকার বলে মনে করেন জাতিসংঘে নিযুক্ত ব্রিটিশ দূত কারেন পিয়ার্স। সংখ্যালঘু মুসলিম রোহিঙ্গাদের ওপর চালানো সহিংসতার ব্যাপারে মিয়ানমারকে অবশ্যই সুষ্ঠু তদন্ত করতে হবে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
রোহিঙ্গা সংকট দেখতে এর আগে চারদিনের সফরে বাংলাদেশ ও মিয়ানমার সফর করে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের প্রতিনিধি দল। ওই প্রতিনিধি দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন পিয়ার্স। সফর শেষে নিউইয়র্কে ফিরে মঙ্গলবার পিয়ার্স বলেন, মায়ানমার সরকারকে এই সংকটের মূল কারণ খুঁজে বের করতে হবে।
প্রসঙ্গত, গত বছরের ২৫ আগস্ট নিরাপত্তা বাহিনীর কয়েকটি চেকপোস্টে হামলার ঘটনাকে কেন্দ্র করে মায়ানমারের রাখাইন রাজ্যে সংখ্যালঘু মুসলিম রোহিঙ্গাদের ওপর সাঁড়াশি অভিযান চালায় দেশটির সেনাবাহিনী। বর্বর ওই অভিযান থেকে জীবন বাঁচাতে প্রায় সাত লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে পালিয়ে এসেছে। জাতিসংঘ ওই অভিযানকে জাতিগোষ্ঠী নিধন বলে অভিহিত করেছে।
ব্রিটিশ দূত বলেন, ‘জবাবদিহিতিার স্বার্থেই যথাযথ তদন্ত দরকার। আন্তর্জাতিক কিংবা অভ্যন্তরীণ (তদন্ত) সেটা ব্যাপার না, কিন্তু সেটা গ্রহণযোগ্য হতে হবে।
বার্মা (মিয়ানমার) হিউম্যান রাইটস নেটওয়ার্কের প্রতিষ্ঠাতা কিয়ো উইন আলজাজিরাকে বলেন, অপরাধীদের জবাবদিহিতার বিষয়টি একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। কিন্তু দুঃখের বিষয় হলো যে, নিরাপত্তা পরিষদ মায়ানমার সেনাবাহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে সে ধরনের কোনো পদক্ষেপ নিতে অনুৎসাহী বলেই মনে হচ্ছে।
তিনি আরো বলেন, জবাবদিহিতা না হওয়ায় অপরাধীরা এই ইঙ্গিত পেয়েছে যে তারা পার পেয়ে যাবে। আর আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের এই উদাসীনতা বা কোনো পদক্ষেপ না নেওয়ায় দেশটিতে অনেক লোকের জীবন হুমকি র মধ্যে পড়ে।