কোরীয় উপদ্বীপে শান্তি আনার প্রচেষ্টার জন্য মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প নোবেল পুরস্কার পেতে পারেন বলে মন্তব্য করেছেন দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট মুন জায়ে ইন। প্রসঙ্গত, উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উনের সঙ্গে ঐতিহাসিক বৈঠকে বসার পর থেকেই মুন নোবেল পাবেন—এ ধরনের একটি আলোচনা চলছে। দুই কোরিয়ার নেতাদের মধ্যে এটি ছিল তৃতীয় বৈঠক।
এর আগে উনের বাবা কিম জং ইলের সঙ্গে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রয়াত প্রেসিডেন্ট কিম দায়ে জং এবং রোহ মু হিউন যথাক্রমে ২০০০ ও ২০০৭ সালে বৈঠক করেন। ২০০০ সালে উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে প্রথমবারের মতো বৈঠক করার জন্য নোবেল শান্তি পুরস্কার পান কিম দায়ে জং। তাঁর বিধবা স্ত্রী গতকাল সোমবার উনের সঙ্গে বৈঠকের জন্য অভিনন্দন জানিয়ে মুনকে লেখা এক বার্তায় আশা প্রকাশ করেন, দক্ষিণ কোরিয়ার বর্তমান প্রেসিডেন্টও নোবেল পুরস্কার পাবেন। আগামী অক্টোবরে এ পুরস্কার ঘোষণা করা হবে।
এই প্রত্যাশার জবাবে মুন বলেন, ‘প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এ পুরস্কার পেতে পারেন। আর আমরা যা চাই তা হলো শান্তি।’ ট্রাম্প অবশ্য গত বছর প্রায় পুরোটাই পার করেছেন উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উনের সঙ্গে বাগযুদ্ধ চালিয়ে। চরম উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে সে সময়। যুদ্ধের আশঙ্কাও করেছিলেন কেউ কেউ। তবে এ বছরের গোড়া থেকেই পরিস্থিতি পাল্টে যায়। পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই ট্রাম্প মুখোমুখি বৈঠকে বসতে যাচ্ছেন তাঁর একসময়ের ‘বেঁটে’ ও ‘রকেটম্যান’ উনের সঙ্গে। এ বৈঠকের প্রস্তাব অবশ্য এসেছে ট্রাম্পকে ‘বুড়ো ভাম’ বলা উনের পক্ষ থেকেই।