
সিঙ্গাপুরে প্রেসিডেন্ট প্রধানত একটি আনুষ্ঠানিক পদ; দেশটির নির্বাহী ক্ষমতা প্রধানমন্ত্রীর হাতে।
বহু সংস্কৃতির এই রাষ্ট্রটিতে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় সবার অংশীদারিত্বের বোধ নিশ্চিত করতে এবারের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রার্থীতা শুধু সংখ্যালঘু মালয় সম্প্রদায়ের লোকজনের জন্য সংরক্ষিত থাকবে বলে ডিক্রি জারি করেছিল দেশটি।
সিঙ্গাপুরের নির্বাচন বিভাগের দপ্তরে দেওয়া এক ভাষণে হালিমা বলেন, এটি একটি সংরক্ষিত নির্বাচন হলেও আমি সংরক্ষিত প্রেসিডেন্ট না, আমি সবার প্রেসিডেন্ট।
প্রার্থী হওয়ার বিধান অনুসারে পার্লামেন্টের স্পিকার হিসেবে হালিমার অভিজ্ঞতা থাকায় তিনি সরাসরি বৈধ প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হন।
চলতি সপ্তাহের শুরুরদিকে নির্বাচন বিভাগ জানিয়েছিল, আরো চারজন প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হওয়ার আবেদন করেছিলেন। তাদের মধ্যে দুইজন মালয় না হওয়ায় তারা বাদ পড়েন এবং প্রার্থী হওয়ার যোগ্য মর্মে কোনো সনদ জমা না দেওয়ায় অপর দুইজনের আবেদনও বাতিল হয়।
মালয় সম্প্রদায় থেকে সিঙ্গাপুরের প্রেসিডেন্ট হওয়া শেষ ব্যক্তি ছিলেন ইউসুফ ইসহাক। সিঙ্গাপুরের ব্যাঙ্কনোটগুলোতে তার ছবি আছে। ১৯৬৫ সাল থেকে ১৯৭০ সাল পর্যন্ত তিনি দেশটির প্রেসিডেন্ট ছিলেন।
চীনা নৃগোষ্ঠীর লোকজন সিঙ্গাপুরের সংখ্যাগরিষ্ঠ সম্প্রদায়।