২৫ বছর পর আক্ষেপের অবসান গ্যারেথ সাউথগেটের

0
২৫ বছর পর আক্ষেপের অবসান গ্যারেথ সাউথগেটের

পেড়িয়ে গিয়েছে ২৫ বছর। তবে ১৯৯৬ সালে ইউরো কাপের সেমিফাইনালে জার্মানির বিরুদ্ধে পেনাল্টি ফসকানোর যন্ত্রণা আজও কুঁড়ে কুঁড়ে খেত গ্যারেথ সাউথগেটকে। সাল ২০২১, সেই যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পেলেন ইংরেজ প্রশিক্ষক।

নক আউট পর্বে জার্মানির বিরুদ্ধে খেলা মানেই ইংরেজদের চোখে জল। ১৯৯৬ সালের ইউরো কাপের সেমিফাইনালে পেনাল্টি ফসকে সেই চোখের জলের সাক্ষী ছিলেন সাউথগেট নিজেও। মঙ্গলবার রাতেও পাল্লা ভারী ছিল জার্মানির দিকেই। তবে ফুটবলার সাউথগেট যা পারেননি, প্রশিক্ষক হিসেবে সেই কাজটা করার সাহস জুগিয়ে গিয়েছেন হ্যারি কেনের ইংল্যান্ডকে। প্রি কোয়ার্টার ফাইনাল থেকেই জার্মানির বিদায় ঘণ্টা বাজিয়ে দিলেন রহিম স্টার্লিংরা।

১৯৬৬ সালে বিশ্বকাপের ফাইনালে ওয়েম্বলির মাঠেই শেষ বার জার্মানিকে (সেই সময় পূর্ব জার্মানি) কোনও নক আউট পর্বে হারিয়েছিল ইংল্যান্ড। মঙ্গলবার ৪০ হাজার দর্শকের সামনে সেই ওয়েম্বলির মাঠেই ফের জার্মান রক্ষণ ভাঙলেন কেনরা। গ্রুপ পর্বে একটিও গোল হজম করেনি ইংল্যান্ড। জার্মানির বিরুদ্ধে যা সাহস জুগিয়েছিল সাউথগেটকে। ৩ জন ডিফেন্ডার রেখে প্রথম একাদশ সাজিয়েছিলেন তিনি। শুরুতেই যেন বার্তা দিয়ে দেওয়া আমরা আক্রমণ করব।

সাউথগেট বলেন, “এক অসাধারণ বিকেল (স্থানীয় সময় অনুযায়ী বিকেলে খেলা হয়েছিল)। দেশের মানুষকে এমনই আনন্দের বিকেল উপহার দিতে চাই। দলের প্রতিটা ফুটবলার তাদের কাজ নিপুণ ভাবে করেছে। মাঠে হয়তো মাত্র ৪০ হাজার দর্শক ছিলেন, তবে তাঁরাই দারুণ পরিবেশ তৈরি করে দিয়েছিলেন। আমরা দারুণ খেলেছি, এই জয়টা আমাদের প্রাপ্য।”

তবে সাউথগেট মনে করেন জার্মানির বিরুদ্ধে এই জয় বিফলে যাবে যদি কোয়ার্টার ফাইনালে জিততে না পারে ইংল্যান্ড। তাই এখনই আনন্দে গা ভাসাতে রাজি নন সাউথগেট। জার্মানি ম্যাচ জিতেই পরের ম্যাচের পরিকল্পনা শুরু করে দিয়েছেন তিনি।