অনেক বিতর্কিত মুভি এই ডুব।

0
ডুব

ডুব কেনো দেখবেন বা দেখবেন না?
♦️কেনো দেখবেন: আপনি যদি ইরফান খানের ভক্ত হন।লাঞ্চ বক্স আর পিকু দেখেও যদি হতাশ না হন।যদি নতুন স্বাদের প্রতি প্রেম থাকে।
যদি ফারুকীর কাজ ভালো লাগে।
যদি ছবি গভীরে ডুকতে ভালো লাগে।
যদি চোখ দিয়ে নয় বরং মাইন্ড দিয়ে মুভি দেখতে ইচ্ছা হয়।
যদি বায়োপিক না ভেবে দেখেন।
ডুব

♦️দেখবেন না যেই কারণে: আপনি যদি কমার্শিয়াল মুভি বেশি ইনজয় করেন।
যদি মুভি নিয়ে ভাবার জন্য তেমন সময় না থাকে।
যদি হুমায়ুন স্যারের গল্প ভেবে দেখতে বসেন।
মুভি শেখা নয় উপভোগ্যই জরুরি যদি মনে হয়।
যদি লাঞ্চবক্স ধরনের মুভি সহ্য না হয়।
রিভিউ দেবো না শুধু কিছু কথা বলবো।
তার আগে নিজের সম্পর্কে বলে নেই বি-গ্রেড আর দুর্বল সিনেমাটোগ্রাফি বাদে সব ধরনের মুভি সেই পরিচালক যেই মুডে বানিয়েছেন সেই মুডেই দেখতে বসি।কমার্শিয়াল মুভিতেও কোনো চুলকানি নাই।

♦️লোকের কথা সম্পর্কে বলি: কারো কাছে রেটিং 2 আবার কারো কাছে 8/9 এটাই স্বাভাবিক।
সহজ কথায় কে কোন ক্লাসের দর্শক সেইটা বড় কথা না। একজন A ক্লাসের দর্শকের কাছেও এইটা অখাদ্য লাগতে পারে খুব স্বাভাবিক। পৃথিবীতে দুই ধরনের দর্শক আছে।
প্রথম জন নিজের মুডে ছবিকে ইনজয় করতে চায়।
আর আরেক জন মুভি মেকার যেই কেটাগরিতে মুভি বানাইছে সেই মুডে নিজেকে নিয়ে গিয়ে মুভি ইনজয় করে। এই বলে এই না সব মুভিই তাদের কাছে ভালো বরং তাদের কাছে মুভি খারাপ লাগার সুযোগ বেশি কারণ তারা ছবি আর ছবি মেকারদের ভিতরে ডুবে মুভি দেখেন। যেখানে সামান্য ভুলগুলো চোখে পরে।
ডুব মুভিটা নিজের মুডে ইনজয় করা লোকের নয়।
ডুবের কিছু ডায়লগ আর চরিত্র নিয়ে কথা বলবো।
কিছু কিছু মুভি আছে যেখানে একটা ডায়লগই পুরো মুভিকে প্রাপ্তি দেয়।

♦️মুভিতে জাভেদ তার মেয়েকে যখন তার বাবা সম্পর্কে কথা বলে তখন সে বলে-
প্রিয়জনদের কাছে যখন মানুষের প্রয়োজন শেষ হয়ে যায় তখনই মানুষ মারা যায়।
(এটাই জাভেদের ধারণা এবং পরিণতি)
এই ডায়লগেই জাভেদকে উপস্থাপন করা হয়েছে যা খুব বেশি ভালো লাগছে।

♦️নিতু সম্পর্কে পরিচালক বেশি কিছু রিভিল করেন নাই কারণ সে তার মুল থীম প্রিয় মানুষগুলোর সাথে দূরত্বটাই তুলে ধরতে চেয়েছেন।
নিতুকে জাভেদ যখন চলে যেতে বলে সেই সময়ে নিতুর কথা শুনলেই বোঝা যায় জাভেদের পরিবারের দূরত্ব আর নিতুর অধিকার জাহির করার পরিণতি জাভেদের দ্বিতীয় বিয়ে।

♦️সাবেরিন তার বাবাকে যখন দৌড়ে পানি দিতে যায় আর তার ভিতরে চাপা কষ্ট চোখে এসে পরে সেটা ছিল দেখার মতো দৃশ্য।
আর সাবেরিন যখন আলাদা হয় জাভেদের শাস্তি হিসেবে তাদের উপর থেকে অধিকার তুলে নেয় সেটা ছিল তাদের থেকে তাকে মুক্ত করে দেওয়া আর নিজেদের অভিযোগ বোঝানো।

♦️সাবেরিনের মা অর্থাৎ জাভেদের প্রথম স্ত্রীর তার স্বামী মৃত্যু নিয়ে ভাবনাটা তার অনুভূতিতে প্রকাশ পায় যখন সে বলে-
তোমার মৃত্যু সংবাদে খুশি হয়েছি,সত্যিই খুশি হয়েছি।কারণ এখন তুমি কারো অধিকারে বাঁধা নেই তোমাকে সব জায়গায় দেখতে পাই।
এখানেই তার প্রথম স্ত্রীর উপস্থাপনটা ছিল দেখার মতো।
মুভির অনেক ভালোলাগাটা ছিলো যেখানে শুরু সেখানে শেষ এই দৃশ্যটা।

♦️আর আহারে জীবন গানটা ছবিটাকে আরো গভীর করেছে এখানে কোনো গানই খাপ খেতো না আহারে জীবন ছাড়া।

♦️বিতর্ক করতে চাইনা শুধু বলতে চাই যাদের ডুব ভালো লাগেনি তারা ডুবের পাশাপাশি ডুবের দর্শকদের নিয়ে কটুক্তি বন্ধ করেন আপনারা নিজেদের মতো ইনজয় করতে চেয়ে ব্যর্থ এর দোষতো আর যারা সার্থক তাদের নয়।

আপনার মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে