মুখে জয়বাংলা স্লোগান, আবার ছুড়ছেন গুলি। একই সময়ে সদলবলে রাস্তাও অবরোধ করছেন। এমন দৃশ্যের একটি দৃশ্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ব্যাপক ভাইরাল হয়।
ভিডিওটি চট্টগ্রাম জেলার চন্দনাইশ উপজেলার। গুলি ছুঁড়তে দেখা ওই ব্যক্তির নাম মো. গিয়াস উদ্দিন ওরফে সুজন (৪১)। তিনি কেন্দ্রীয় আওয়ামী যুবলীগের সাবেক সদস্য। শনিবার ভোরে রাজধানীর ধানমন্ডি এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করে র্যাব এর একটি দল। অতঃপর তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে চট্টগ্রাম নগরের খুলশী এলাকায় অভিযান চালিয়ে আরেক সহযোগী মাঈনউদ্দিন সাঞ্জুকে (৩৯) অস্ত্রসহ গ্রেফতার করা হয়।
র্যাব সূত্রে জানা যায় গত ৩০ আগস্ট উপজেলার হাশিমপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের উদ্যোগে একটি শোক সভার আয়োজন করা হয়। ওই শোক সভায় ছাত্রলীগের দুই গ্রুপে সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষের জের ধরে গিয়াস উদ্দিনের নেতৃত্বে একটি দল চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ক অবরোধ করে রাখে। অবরোধের সময় রাস্তায় আগুন দেয়া হয়। একই সময়ে অস্ত্র উঁচু করে গিয়াস উদ্দিনকে গুলি করতে দেখা যায়। সেই ঘটনার দৃশ্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়।
এ ঘটনায় চন্দনাইশ থানায় দুটি পাল্টাপাল্টি মামলা দায়ের করা হয়। গিয়াস উদ্দিন নিজে বাদি হয়ে একটি মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় আসামি করা হয় মোট ১০ জনকে। অপরদিকে মো. আবুল ফয়সাল নামে এক ছাত্রলীগ নেতা গিয়াস উদ্দিনকে প্রধান আসামি করে ্মোট ২১ জনের নামে পাল্টা মামলা দায়ের করেন।
ঘটনাটি সারা চট্টগ্রামজুড়ে আলোচনার বন্যা বইয়ে দিলে ছায়া তদন্ত শুরু করে র্যাব। পরে শনিবার ভোরে তার সহযোগীসহ সাবেক যুবলীগ নেতা গিয়াস উদ্দিনকে গ্রেফতার করা হয়।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে চট্টগ্রাম র্যাবের সহকারী পরিচালক মিডিয়া নুরুল আবছার গণমাধ্যমকে জানান, ‘অস্ত্রসহ গ্রেফতার হওয়া গিয়াস উদ্দিন ও তার সহযোগী এই দুইজনকে চন্দনাইশ থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।’