সম্প্রতিকালে আত্মহত্যা যেন ফ্যাশনে পরিণত হয়েছে। তরুণতরুণীরা স্বল্পকারণেই আত্মহত্যার মত মারাত্মক পথা টা বেছে নিচ্ছে। এ ক্ষেত্রে ছেলেরা বেশি জটিল পথে চেষ্টা করে আর সফলও হয় বেশি। আর মেয়েরা আত্মহত্যার চেষ্টা করে বেশি কিন্তু সফল হয় কম। তবে নারী-পুরুষ উভয়ই সমান ঝুঁকিপূর্ণ। বিশেষ করে টিনএজেরর ছেলেমেয়েগুলোর প্রতি লক্ষ্য রাখা বাঞ্ছনীয়।
★কারা আত্মহত্যার জন্য ঝুঁকিপূর্ণ?
১. মানসিকভাবে অসুস্থ, ডিপ্রেশন, হ্যালোসুয়েশল, বিভিন্ন মানসিক সমস্যায় ভোক্তভোগীগণ।
২. দুরারোগ্যব্যথিতে আক্রান্ত কিংবা জটিল রোগের রুগীরা।
৩. পারিবারিক ভাবে যৌননির্যাতিত অথবা অন্যকোনভাবে।
৪. প্রণয়ঘটিত কারণে সংঘাত।
৫. আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া বা ব্যবসায়ি লোকসানে জড়িত।
৬. পারিবারিক অশান্তিতে বসবাসকারী।
৭. নিকট আত্মীয় আত্মহত্যা করেছে এমন লোক।
৮. মানসিক বিকারগ্রস্ত।
৯. নেশা বা এলকোহল আসক্ত।
১০. বিভিন্নভাবে লাঞ্ছিত ব্যক্তি।
★আত্মহত্যা প্রতিরোধের উপায়
১. কারো মাথায় আত্মহত্যার চিন্তা এলে দ্রুত মনোরোগ বিশেষজ্ঞের নিকট যাবেন। মানসিক ডাক্তার দেখাবেন।
২. কেউ আত্মহত্যার হুমকি দিলে তাকে হাল্কা ভাবে নিবেন না। যথাযথ খেয়াল রাখুন। যত্মশীল হউন তার উপর। মানসিক চাপ, ভিতরের সমস্যা বুঝার চেষ্টা করুন।
৩.সচেতনতা বাড়ান। ধর্মীয় অনুশাসন মেনে চলার জন্য সচেষ্ট হউন।
৪. ভিতরের চাপা কষ্ট কাছের মানুষের নিকট প্রকাশ করুন।
৫. নিজের উপর আস্থাশীল হউন। সবসময় মানসিক ভাবে শক্ত থাকুন।
৬. সরল জটিল সব পরিস্থিতিতে নিজেকে মানিয়ে নেয়ার চেষ্টা করুন।
লেখা: কুহু_পরী