আলু রপ্তানি ও প্রক্রিয়াজাতকরণে সর্বাত্মক সহযোগিতা দেয়া হবে: কৃষিমন্ত্রী

0
ড. আব্দুর রাজ্জাক

কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক এমপি বলেছেন, দেশে বর্তমানে বছরে ১ কোটি টনেরও বেশি আলু উৎপাদিত হয়। অথচ বিদেশ থেকে চড়া দামে আলুর চিপস, প্রিঙ্গলস আমদানি করতে হয়। দেশে আলু প্রক্রিয়াজাতকরণ ও ভ্যালু আ্যাডে জড়িত প্রতিষ্ঠানসমূহকে মানসম্পন্ন চিপস, প্রিঙ্গলস, ফ্রেঞ্চফ্রাই তৈরি করতে হবে। এছাড়া, আলুর বহুমুখী ব্যবহার করে আর কি কি প্রোডাক্ট বানানো যায়- তা খুঁজে বের করতে হবে।

রবিবার রাজধানীর ফার্মগেটে কৃষি গবেষণা কাউন্সিল (বিএআরসি) মিলনায়তনে আলু প্রক্রিয়াজাতকরণ বৃদ্ধির লক্ষ্যে করণীয় বিষয়ে মতবিনিময় সভায় তিনি আরো উল্লেখ করেন, আলুর ভালো জাতের অভাব এতদিন আলু রপ্তানি ও প্রক্রিয়াজাতকরণে বড় বাধা ছিল। ইতোমধ্যে বিদেশ থেকে অনেকগুলো উন্নত জাত আনা হয়েছে। এছাড়া, আলুর জাত অবমুক্তিতে আগে নিবন্ধন লাগত, সেটিকে আমরা উন্মুক্ত (নন-নোটিফাইড) করে দিয়েছি। ফলে প্রাইভেট সেক্টরও কিছু উন্নত জাত নিয়ে এসেছে। মাঠে এ জাতগুলোর সক্ষমতা, উৎপাদনশীলতা, গুণাগুণ, ড্রাইমেটারের উপস্থিতি বেশি প্রভৃতি ভাল ফলাফল পাওয়া গেছে। জাত নিয়ে আর সমস্যা থাকবে না।

‘অন্য আরেকটি প্রতিবন্ধকতা হলো নিরাপদ ও রোগমুক্ত আলুর উৎপাদনের নিশ্চয়তা প্রদান। এ লক্ষ্যে ইতোমধ্যে উত্তম কৃষি চর্চা নীতিমালা (জিএপি) প্রণীত হয়েছে। টেস্টিং সুবিধা বাড়ানোর জন্য ঢাকার শ্যামপুরে একটি ল্যাব নির্মিত হয়েছে, এটির আধুনিকায়ন চলছে। পূর্বাচলে আরেকটি আধুনিক ল্যাব নির্মিত হবে।’

কৃষিমন্ত্রী বলেন, দেশে আলু খুবই সম্ভাবনাময় একটি ফসল। আবহাওয়া ও মাটি আলু চাষের অনুকূল। আলুর বাজার ও চাহিদা বাড়াতে পারলে উৎপাদন অনেকগুণে বাড়ান সম্ভব। এ বছর আলুর দাম কম। কৃষক ও কোল্ড স্টোরেজের মালিকেরা আলু বিক্রি নিয়ে উদ্বিগ্ন অবস্থায় রয়েছে। সেজন্য ফ্রেশ আলু ও প্রক্রিয়াজাত করে দেশে বিদেশে বাজার বিস্তৃত করতে হবে।

এসময় তিনি প্রাইভেট সেক্টরকে জিএপি বাস্তবায়ন করে কন্ট্রাক্ট ফার্মিং এর মাধ্যমে আলু উৎপাদন ও রপ্তানি বৃদ্ধিতে এগিয়ে আসারও আহ্বান জানান।