একুশে গ্রন্থমেলায় আসছে আলাউদ্দিন আদরের গবেষণাধর্মী প্রবন্ধের বই ‘সাহিত্যে নোবেল:ভেতর বাহির’

0
সাহিত্যে নোবেল:ভেতর বাহির

সাহিত্য ডেস্ক:
অমর একুশে গ্রন্থমেলায় আসছে তরুণ কবি ও কথাশিল্পী আলাউদ্দিন আদরের প্রবন্ধের বই ‘সাহিত্যে নোবেল:ভেতর বাহির’। বইটি প্রকাশ করেছে ঢাকার খ্যাতনামা প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান প্রিয় বাংলা প্রকাশন। এটি তার প্রথম প্রবন্ধগ্রন্থ। লেখক গ্রন্থটির (পাণ্ডুলিপির)জন্য প্রবন্ধে প্রিয় বাংলা পাণ্ডুলিপি পুরস্কার’১৮ অর্জন করেন।
সাহিত্যে নোবেল:ভেতর বাহির
বইটি নিয়ে লেখক লিখেন-
নোবেল পুরস্কার নিয়ে নাটকিতার শেষ নেই।সব সব সচেতন মানুষই এই পুরস্কারটি নিয়ে বেশ কৌতুহলী।সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার পাওয়া ব্যক্তিকে নিয়ে মাতামাতি অন্যদের তুলনায় বেশিই হয়

ডিনামাইটের আবিষ্কারক হিসেবে বিজ্ঞানী আলফ্রেড বার্নার্ড নোবেল পত্র পত্রিকায় পরিচিত হয়ে ওঠেন ‘মৃত্যুর সওদাগর’ নামে। হোন শিরোনামও!সেই তিনিই আবার অমর হয়ে রয়েছেন বিশ্বের সবচেয়ে সম্মানজনক পুরস্কার প্রবতর্নের জনক হয়ে। মানবসভ্যতার অগ্রগতিতে যারা গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখেন তাদের মধ্য থেকে শ্রেষ্ঠ ব্যক্তিকে নির্বাচন করা হয় পুরস্কারের জন্য।
যারা নোবেল লরিয়েট হন তারা সকলের কাছে পরিণত হন অনুকরণীয় ব্যক্তিত্বে। সারা বিশ্বে সেই ব্যক্তির কাজ তাকে এবং তার দেশকেও পরিচিত করে তোলে।নতুন ভাবে।বিশেষ গুরুত্বের সাথে

১৯০১ সালে থেকে শুরু করে গত সোয়াশ বছরে নোবেল পুরস্কারের মতো এমন সম্মানজনক পুরস্কার মনে হয় দ্বিতীয়টি নেই। যেসব বিষয়ে নোবেল পুরস্কার দেওয়া হয় না সেসব বিষয়ে পুরস্কার দিয়ে তার তুলনা করা হয় নোবেল পুরস্কারের সঙ্গে। এ পুরস্কার ঘোষণার বেশ আগে থেকেই বিশ্বজুড়ে আলোচনা শুরু হয়ে যায়। চলতে থাকে জল্পনা-কল্পনা। পুরস্কারের পক্ষে বিপক্ষে নিয়ে চলতে থাকে আলোচনা-সমালোচনার ঝড়। ১৯০১ সাল থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত ৯২৩ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান নোবেল পুরস্কার অর্জন করেছেন।

মাঝে কয়েক কছর যুদ্ধ ও প্রতিকূল অবস্থার কারণে নোবেল পুরস্কার দেওয়া হয়নি। শুধু শান্তিতে নোবেল পুরস্কার দেওয়া হয় নরওয়ের অসলো শহর থেকে। অন্য পুরস্কার প্রদানের আয়োজন করা হয় সুইডেনের স্টকহোমে।এ পুরস্কারের পরতে পরতে লুকিয়ে রয়েছে চমকপ্রদ সব ঘটনা। এর পুরস্কার প্রদানের শুরুর ঘটনাও কম নাটকীয় নয়।

আলফ্রেড নোবেলের ভাই মারা যায়। কিন্তু ১৮৮৮ সালে ‘দ্য মার্চেন্ট অফ ডেথ ইজ ডেড’ শিরোনামে ফরাসি সংবাদপত্রে আলফ্রেড নোবেলের মৃত্যুর খবর ছাপা হয়। সে সংবাদে তার সম্পর্কে যেসব মন্তব্য করা হয় তা দেখে বিচলিত হন নোবেল। তাকে বলা হয় ‘মৃত্যুর সওদাগর’। এরপর ১৮৯৫ সালে তিনি মানব সভ্যতার অগ্রগতিতে ভূমিকা রাখার স্বীকৃতি হিসাবে পুরস্কার প্রদানের পরিকল্পনা করেন। এ নিয়ে উইল করে ‘নোবেল পুরস্কার’ প্রবর্তন করেন। আর তার মোট সম্পদের ৯৪ শতাংশ দান করেন এ পুরস্কার প্রদান পর্ব নিয়মিতভাবে পরিচালনার জন্য।

নোবেল পুরস্কার নিয়ে প্রচলিত নানান মুখরোচক গল্পের সত্য উদঘাটন করতে গিয়ে লেখক বিষয়টি নিয়ে আগ্রহি হয়ে উঠেন।এরপর দীর্ঘ সময় চলে তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ।পেতে থাকেন নানান চমকপ্রদ তথ্য।কাজ এগিয়ে যায় বহুদূর…।সাহিত্য নোবেল পুরস্কার নিয়ে কৌতুহলী পাঠকের জ্ঞান তৃষ্ণা মেটাতে সেগুলো একীভূত করলেই তৈরি পাণ্ডুলিপি!সেই পাণ্ডুলিপিটি প্রিয় বাংলা পাণ্ডুলিপি পুরস্কার’১৮ জিতে প্রকাশিত হচ্ছে একটি তথ্য সমৃদ্ধ নির্ভরযোগ্য প্রবন্ধের বই আকারে!

আলাউদ্দিন আদর প্রতিশ্রুতিশীল এক লেখক সত্ত্বার নাম। লেখনিতে যুতসই শব্দের আদরে মজবুত গাঁথুনি তৈরি করতে পারদর্শী এই পুর প্রকৌশলীর শক্তি সামর্থ্য শুধুই নিখুত ভবন নির্মান নয়। রয়েছে শিল্প সাহিত্যে নিজস্ব ভাবনা বিকাশের অসীম সম্ভবনা। দীর্ঘদিন শিল্পসাহিত্য চর্চা করলেও নিজের কবিতাকে লিটলম্যাগ থেকে দেশের প্রথম শ্রেণীর সব জাতীয় দৈনিকে সীমাবদ্ধ রেখেছিলেন তিনি।

পাঠকমহলে হঠাৎ করেই নিজেকে ভিন্ন আমেজে অনাবৃত করে প্রবন্ধে জিতে নিলেন ‘প্রিয় বাংলা পান্ডুলিপি পুরস্কার’১৮’। এ বছরই মলাটবন্দি হতে যাচ্ছে “সাহিত্যে নোবেল: ভেতর বাহির” গ্রন্থটি।
বইটির প্রচ্ছদ এঁকেছেন শিল্পী লিমন মেহেদী। অমর একুশে গ্রন্থমেলায় প্রিয় বাংলা প্রকাশনীর ৬৬৫ নম্বর স্টলে পাওয়া যাবে বইটি।

বইটি নিয়ে লেখক ও প্রকাশক দু’জনই বেশ আশাবাদী।ফেব্রুয়ারীর প্রথম সপ্তাহের শেষের দিকে বইটি পাঠকের হাতে আসবে-এমনটাই জানিয়েছেন প্রিয় বাংলার প্রকাশক এস এম জসিম ভূঁইয়া।