কৃষি জমির ইজারা বাতিলের দাবি চার গ্রামবাসীর

0
কৃষি জমির ইজারা বাতিলের দাবি চার গ্রামবাসীর

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আশুগঞ্জের মেঘনা নদীর তীরের কৃষি জমির ইজারা বাতিলের দাবিতে মানববন্ধন করেছেন স্থানীয়রা।

বৃহস্পতিবার দুপুর ১টা থেকে ২ঃ৩০টা পর্যন্ত উপজেলার বাহাদুরপুর এলাকায় চারটি গ্রামের বাসিন্দারা এ মানববন্ধন করেন।

মানববন্ধনে এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, আশুগঞ্জ নদী বন্দরের অধীনে পাওয়ার স্টেশন এলাকা থেকে কালাসুতা খাল পর্যন্ত চার কিলোমিটার পর্যন্ত নদীর তীরে রয়েছে বিস্তর কৃষি জমি। এই বছরের ৩০ আগস্ট থেকে ২০২২ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত ১০ মাসের জন্য ২ লাখ ৫২ হাজার টাকার মাধ্যমে ইজারা দেওয়া হয় মো. মহিউদ্দিন মোল্লাকে। ইজারা দেয়ার স্থানের মধ্যে রয়েছে আশুগঞ্জ উপজেলার দূর্গাপুর ইউনিয়নের সোহাগপুর, বাহাদুরপুর, দূর্গাপুর ও তাজপুর এই ৪টি গ্রাম। ইজারা দেয়ার স্থানের অধিকাংশই ফসলী জমি।

এছাড়া এখানে নেই কোনো চলাচলের সড়ক। ইজারাদার মহিউদ্দিন মোল্লা স্থানীয়দের থেকে জোরপূর্বক চাপ দিয়ে ইচ্ছেমতো ইজারা আদায় করছে। এতে করে প্রতিদিনই স্থানীয়দের সঙ্গে ইজারাদারের কথা কাটাকাটি হচ্ছে এবং ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন স্থানীয়রা। এতে করে টাকা উত্তোলন নিয়ে ইজারাদার ও এলাকাবাসীর মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে।

মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন- ফারুক মিয়া, মিদন মিয়া, সাদেক মিয়া, জামাল সরদার, হাজী বাহাউদ্দীন মিয়া, মোয়াজ্জেম হোসেন, আব্দুল্লাহ মিয়া, মাসুদ মিয়া, সালাহ উদ্দিনসহ প্রমুখ।

দূর্গাপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি সাদেক মিয়া জানান, ভৈরব-আশুগঞ্জ নদী বন্দরের বন্দর কর্মকর্তা ও বিআইডব্লিউটিএর উপ-পরিচালক মো. শহীদ উল্যাহর যোগসাজশে মোটা অংকের ঘুষে নিয়ে এই ইজারা দিয়েছে। এতে করে চার গ্রামের হাজার হাজার কৃষক ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে্ন। তাই কৃষকদের বাঁচাতে অবিলম্বে এই ইজারা বাতিলের দাবি জানাচ্ছি।

হাজী মো. ফারুক মিয়া গণমাধ্যমকে জানান, স্থানীয়দের বাধার মুখেও বিপুল অংকের টাকা লেনদেনের মাধ্যমে ইজারা দিয়েছে। ইজারা নেওয়ার পর থেকে স্থানীয় এলাকাবাসীর কাছ থেকে চাপ প্রয়োগ করে ইজারার টাকা নেওয়া হচ্ছে। এতে করে ইজারাদারের সাথে এলাকাবাসীর মধ্যে অপ্রীতিকর ঘটনার ঘটতে পারে। আর এ ঘটনার জন্য দায়ী থাকবে বিআইডব্লিউটিএর উপ পরিচালক শহীদ উল্যাহ। তাই দ্রুত এই ইজারা বাতিলের দাবি আমাদের। আর না হলে খুন খারাবি হলে এর দায় নিতে হবে শহীদ উল্যাহর নিজের।

তবে বিআইডব্লিউটিএর উপ পরিচালক মো. শহীদ উল্যাহ গণমাধ্যমকে জানান, নিয়ম মেনেই ইজারা দেওয়া হয়েছে। এখানে আর্থিক লেনদেনের কোনো ঘটনা ঘটেনি। তবে ইজারাদার শর্ত না মানলে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

তবে ইজারাদার মহিউদ্দিন মোল্লার বড় ভাই ইমরান মোল্লা বলেন, নিয়ম মেনে সর্বোচ্চ দরদাতা হিসেবে আমরাই ইজারা পেয়েছি। তবে বিআইডব্লিউটিএর নির্দেশনা অনুযায়ী আমার ইজারার টাকা উঠাচ্ছি।

এ বিষয়ে আশুগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অরবিন্দ বিশ্বাস বলেন, এরই মধ্যে বিষয়টি আমাদের নজরে এসেছে। স্থানীয়দের অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় সকল ব্যবস্থা নেওয়া হবে।