খুলনা জেনারেল হাসপাতালে করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন নিতে আসা মানুষকে প্রতিনিয়ত পড়তে হচ্ছে চরম ভোগান্তিতে। সিরিয়াল ভঙ্গ ও স্থান সংকটের কারণে প্রচুর মানুষের সমাগম ও টিকা দেয়ার এসএমএস জটিলতা নিয়ে কেন্দ্রে বিশৃঙ্খলা দেখা যাচ্ছে। এ জন্য সাধারণ মানুষ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের উদাসীনতাকেই দায়ী করছেন।
সোমবার সকালে খুলনা জেনারেল হাসপাতালে টিকা নিতে গিয়েছিলেন মেরুদণ্ডের সমস্যায় ভোগা নগরীর লবনচরা এলাকার হালিমা বেগম (৬৫)। সকাল ৭টার থেকে একটানা লাইনে দাঁড়িয়ে বেলা সোয়া ১১ টায় তিনি এসএমএস চেক পয়েন্টের সামনে পৌঁছাতে সক্ষম হন তিনি। অথচ উনার আগে পেছন থেকে এসে এক মহিলা কাগজপত্র দেখিয়ে ভেতরে টিকা দিতে চলে যান। এ ব্যাপারে তিনি সেখানে উপস্থিত কর্মকর্তাদের কাছে অভিযোগ করলেও কোনো লাভ হয়নি। একই অভিযোগ টুটপাড়ার ফারজানা আফরোজ, রূপসার এলাইপুরের সাদিক হোসেন, রইসুল ইসলামেরও।
ভ্যাক্সিন নিতে আসা আরেক ভুক্তভোগী নগরীর খালিশপুর এলাকার বাসিন্দা দিলরুবা বলেন, ‘আমার বাসা যেহেতু খালিশপুর এলাকায় তাই আমার টিকা কেন্দ্র ছিল তিতুমীর নেভী ক্যাম্পে। কিন্তু সেখানে না দিয়ে আমাদের জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এখানে প্রচুর ভিড়ের মধ্যে একে অপরের গা ঘেঁষে দাঁড়তে হচ্ছে। অনেক কষ্ট করে বুথে গিয়ে আধাঘণ্টা দাঁড়িয়ে থাকার পর ভ্যাকসিন নিয়েছি। তাছাড়া এখানকার ব্যবস্থাপনাও ভালো না। ভ্যাকসিন দেয়ার পর নিয়ম হলো আধাঘণ্টা ডাক্তারের পর্যবেক্ষণে থাকতে হবে। কিন্তু এখানে সেসব তো দূরের কথা বরঞ্চ আমাদের টিকা দেয়ার পরপরই বুথ থেকে বের করে দেয়া হয়।
এ বিষয়ে খুলনা জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. এস এম মুরাদ হোসেন জানান, ওখানে জায়গার অনেক স্বল্পতা রয়েছে। তাছাড়া ভ্যাক্সিন নিতে আসা মানুষও সচেতন নয়। যতক্ষণ পর্যন্ত না তারা নিজেদের ব্যাপারটা বুঝতে পারবেন ততক্ষণ পর্যন্ত আমরা এ অদৃশ্য শত্রুর মোকাবেলা করা সম্ভব নয়। তবে তারা নিয়ম মাফিক তাদের কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছেন।
