টাঙ্গাইলে ধর্ষণের মামলা করে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন সৌদি প্রবাসীর স্ত্রী ও দুই সন্তানের এক জননী (৩১)। মামলা তুলে নিতে ধর্ষকের পরিবার থেকে ওই গৃহবধূকে নানাভাবে হুমকি দিচ্ছেন বলে অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগীর পরিবার।
ধর্ষিতার পরিবার ও মামলা সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে প্রবাসীর স্ত্রীকে কু প্রস্তাব দিয়ে আসছিলেন মৃত সমেজ মিয়ার ছেলে আবদুল হাকিম (৪০)। তার কু-প্রস্তাবে রাজি না হলে গত (৫ মে) রাতে ওই গৃহবধূর ঘরে ঢুকে ধর্ষণ করে হাকিম। পরে বিষয়টি কাউকে জানালে তাকে ও তার দুই সন্তানকে মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে চলে যায়।
একদিকে লোকলজ্জার ভয়, অপরদিকে ধর্ষকের হুমকিতে গৃহবধূ ধর্ষণের বিষয়টি চেপে যান। এর মধ্যে ওই গৃহবধূ গর্ভবতী হয়ে পড়লে হাকিম গত ১৬ জুলাই গৃহবধূর বাড়িতে এসে ৬ হাজার টাকা ও ওষুধ দিয়ে গর্ভপাতে বাধ্য করেন। গর্ভপাতের ফলে ধর্ষিতা গৃহবধূ অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে তাকে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
এদিকে গত বৃহস্পতিবার ওই গৃহবধূ মামলা করেন। মামলা করার পর থেকে অভিযুক্ত হাকিমের পরিবারের প্রতিনিয়ত হুমকি দিয়ে আসছেন। ফলে গৃহবধূসহ তার পরিবারের সদস্য পালিয়ে বেড়াচ্ছেন বলে জানিয়েছেন এলাকাবাসী।
এ বিষয়ে নাগরপুর থানার উপপরিদর্শক ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মনোয়ার হোসেন বলেন, “অভিযুক্ত হাকিম পলাতক থাকায় তাকে গ্রেফতার করা যায়নি। হুমকির বিষয়টি তদন্ত করে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”