নোয়াখালী জেলার সোনাইমুড়ী থানার ধর্ষণ মামলায় পালিয়ে যাওয়া আসামিদের মধ্যে মো. দেলোয়ার হোসেন (২৮) নামক একজন আসামীকে ঢাকার কেরানীগঞ্জ এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়। গত বুধবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টায় নোয়াখালীর পুলিশ সুপার (এসপি) মো. শহীদুল ইসলাম তাকে গ্রেফতারের বিষয়টি সাংবাদিকদের নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান, পালিয়ে যাওয়া আসামি দেলোয়ার হোসেনকে ডিএমপির কেরানীগঞ্জ থানা পুলিশের সহযোগিতায় বুধবার রাতে গ্রেফতার করা হয়েছে। পালিয়ে যাওয়া অন্য এক আসামি মো. জুয়েলকে (২৪) গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত আছে। এছাড়া পালিয়ে যাওয়া আসামিদের বিরুদ্ধে মুন্সিগঞ্জের গজারিয়া থানায় বুধবার রাতে পেনাল কোডের ২২৪ ধারায় মামলা (নম্বর-১৩) রুজু করা হয়েছে।
এদিকে ধর্ষণের এ নিকৃষ্ট ঘটনায় নোয়াখালীর সোনাইমুড়ী থানার তিন পুলিশ সদস্যকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। এবং পরিদর্শক (তদন্ত) জিসান আহাম্মদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য চট্টগ্রাম রেঞ্জ অফিসকে অবহিত করা হয়।
গত বুধবার বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে মুন্সিগঞ্জের গজারিয়া এলাকায় হাইওয়ে রোডের পাশে আল মদিনা হোটেল অ্যান্ড রেস্টুরেন্টের টয়লেট থেকে পুলিশের চোখ ফাঁকি দিয়ে মো. জুয়েল (২৪) ও মো. দেলোয়ার হোসেন (২৮) নামের ধর্ষণ মামলার দুই আসামি পালিয়ে যায়।
পুলিশ বলেন, আদালতের নির্দেশে বুধবার ধর্ষণ মামলার আসামি ও ভিকটিমকে ডিএনএ পরীক্ষার জন্য ঢাকার মালিবাগ সিআইডিতে নিয়ে যায় সোনাইমুড়ী থানা পুলিশ। ফেরার পথে গজারিয়ার হাইওয়ে এলাকায় আল মদিনা হোটেলে তারা দুপুরের খাবার খেতে নামলে আসামিরা টয়লেটে যাবেন বলে পুলিশকে জানায়। পরে পুলিশ পাহারায় তারা টয়লেটে ঢুকলে আসামিরা একই কায়দায় দুটি টয়লেটের জানালা ভেঙে পালিয়ে যায়।