জঙ্গি আস্তানা ও বিস্ফোরক শনাক্তে হাই রেজুলেশনের একাধিক ক্যামেরা, ছবি স্ক্যান করার ব্যবস্থা ও বিস্ফোরক শনাক্তকণের ক্ষমতাসম্পন্ন বিশেষ রোবট ক্রয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছে পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্র্যান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিট।
সাম্প্রতিক সময়ে বেশ কয়েকটি জঙ্গী আস্তানায় পুলিশের অপারেশন পরিচালনাকালে পুলিশ এবং র্যাব ও বোম্ব ডিসপোজাল টিমের কর্মকর্তা ও সদস্য নিহতের ঘটনায় বেশ নড়েচড়ে বসে কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট। একাধিক রোবট ক্রয়ের জন্য এরই মধ্যে একটি চাহিদাপত্র পাঠানো হয়েছে বলে জানা গেছে। তাই, খুব শীঘ্রই কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্র্যান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিটের সাথে এই অত্যাধুনিক রোবট যুক্ত হতে যাচ্ছে।
এই রোবটগুলোর বিশেষত্ব হলো, রোবটগুলোতে হাই রেজুলেশনের একাধিক ক্যামেরা, ছবি স্ক্যান করার ব্যবস্থা ও বিস্ফোরক শনাক্তকণের ক্ষমতা থাকবে। এটি স্থল, জল এবং থুবই কঠিন পথেও দ্রুতগতিতে চলতে সক্ষম। চলার পথে কোনো ধরনের বাধা পেলে সহজেই ঘুরে গন্তব্যে পৌঁছানোর বিশেষ ক্ষমতা আছে এটির। প্রবেশের রাস্তা সম্পূর্ন বন্ধ থাকলে বিস্ফোরণ ঘটিয়ে রাস্তা তৈরি করতে পারবে এ রোবট। আস্তানার ভেতরের ৩৬০ ডিগ্রি অ্যাঙ্গেলের ছবি তাৎক্ষণিকভাবে পাঠাতে পারবে। বিশেষ করে আস্তানায় কী পরিমাণ বিস্ফোরক আছে, সন্দেহভাজন জঙ্গিদের অবস্থান ও তাদের কাজের কৌশল তাৎক্ষণিকভাবে অপারেশন পরিচালনাকারীদের জানাতে সাহায্য করবে। এতে অভিযান পরিচালনাকারী সদস্যদের মৃত্যুঝুঁকি কমাতে সাহায্য করবে বলে ধারনা করা হচ্ছে। প্রতিটি রোবট যুক্তরাষ্ট্র থেকে আমদানী করতে দাম পড়বে প্রায় এক কোটি টাকা।
আশা করা যায় এসব রোবট যুক্ত হলে পরবর্তীতে যেকোনো ধরনের জঙ্গি আস্তানায় অপারেশনসহ গুরুত্বপূর্ন অপারেশনে বিশেষ সহায়ক ভূমিকা পালন করবে।