নোয়াখালীর হাতিয়ার ভাসানচর থেকে পালাতে গিয়ে পাঁচ দালালসহ ১১ জন রোহিঙ্গাকে আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন) আটক করেছে বলে জানা গেছে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করেন নোয়াখালী জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) মো. শহীদুল ইসলাম।
এর আগে বুধবার দিবাগত রাত ৯টা থেকে দেড়টা পর্যন্ত এপিবিএন সদস্যরা অভিযান চালিয়ে ভাসানচর থেকে তাদের আটক করেন। পরে তাদের থানায় সোপর্দ করা হয়।
আটকরা হচ্ছেন-২৮ নম্বর ক্লাস্টারের ডি-৪ নম্বর কক্ষের ওমর হাকিমের ছেলে জাহিদ হাসান (৩০), ২৪ নম্বর ক্লাস্টারের সি ১৫-১৬ নম্বর কক্ষের আলী আহমদের ছেলে মোহাম্মদ তৈয়ব (২৮), একই ক্লাস্টারের সি-৫ নম্বর কক্ষের দ্বীন মোহাম্মদের ছেলে সেলিম (১৯), ওই ক্লাস্টারের সি-৪ নম্বর কক্ষের আজিমুল্লাহর ছেলে ইসমাইল (২২), ৮ নম্বর ক্লাস্টারের কে-১০ কক্ষের আবু তালেবের ছেলে শফি আলম (৩০), ৭৫ নম্বর ক্লাস্টারের এল-১২ নম্বর কক্ষের আবদুর রহমানের ছেলে সিদ্দিক (৬২), তার স্ত্রী সমুদা খাতুন (২০), ছেলে সফিউদ্দিন (২ মাস), ২৫ নম্বর ক্লাস্টারের কে-৪ নম্বর কক্ষের মো. ইউনুসের ছেলে আজিমুল্লাহ (১৮), তার স্ত্রী আল মারজান (১৭) ও ছেলে ওমর ফারুক (২ মাস)।
ভাসানচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রফিকুল ইসলাম গণমাধ্যমকে জানান, দুই শিশু ও দুই নারীসহ ১১ জন রোহিঙ্গা থানা হেফাজতে রয়েছেন। তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
এর আগে শুক্রবার রাত সাড়ে ১০টায় কাঠের নৌকায় ভাসানচর থেকে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন ৩০ থেকে ৪০ জন রোহিঙ্গা। পরে ভাসানচর থেকে আনুমানিক ১৫-২০ কিলোমিটার পূর্ব দিকে চট্টগ্রামের কাছে বঙ্গোপসাগরে নৌকাটি ডুবে যায়।
ওই ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৫ জনকে জীবিত এবং ১১ জনকে মৃত উদ্ধার করা হয়েছে। দুর্ঘটনার পর থেকে বিমানবাহিনীর হেলিকপ্টার ও নৌবাহিনীর জাহাজ বঙ্গোপসাগর এলাকায় উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করছে।
