প্রতিহিংসা পূরণের জন্য দুর্নীতির মামলায় খালেদা জিয়াকে আদালত কারাদণ্ড দিয়েছে

0
রেজবী

প্রধানমন্ত্রীর প্রতিহিংসা পূরণের জন্য দুর্নীতির মামলায় খালেদা জিয়াকে আদালত কারাদণ্ড দিয়েছে বলে অভিযোগ তুলে রায় প্রত্যাখ্যান করেছে বিএনপি। বৃহস্পতিবার বিকালে রাজধানীর বকশীবাজারের বিশেষ আদালতে বিএনপি চেয়ারপসনের সাজার রায় ঘোষণার পর তাৎক্ষণিক এই প্রতিক্রিয়া জানান দলটিরপ্রতিহিংসা পূরণের জন্য দুর্নীতির মামলায় খালেদা জিয়াকে আদালত কারাদণ্ড দিয়েছে জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
রেজবী
নয়াপল্টনে বিএনপির দলীয় কার্যালয়ে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, “এই রায় প্রধানমন্ত্রীর প্রতিহিংসা পূরণের রায়, গণতন্ত্রকে ধুয়ে মুছে একদলীয় শাসন প্রতিষ্ঠার করার জন্য এই রায়। গণতন্ত্রকে নিশ্চিন্ন করার জন্য এই রায়। রায় ঘোষণার ৪০ মিনিট পর দেওয়া এই প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন; এক পর্যায়ে চশমা খুলে চোখ মুছতে থাকেন তিনি। তাৎক্ষনিক প্রতিক্রিয়া জানানোর সময়ে বেবী নাজনীনসহ উপস্থিত অনেক নেতাকর্মীকে কান্নায় ভেঙে পড়তে দেখা যায়।

রিজভী বলেন, “এই রায় গণবিরোধী রায়, জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষার বিরুদ্ধের রায়। এই রায় দেওয়া হয়েছে শুধুমাত্র একজনকে খুশি করার জন্য, এখানে ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠিত হয়নি। “এই রায় দেশের মানুষ ঘৃণাভরে প্রত্যাখান করে। আমরা এই রায়ের প্রতি ধিক্বার, ঘৃণা, নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।”

খালেদা জিয়াকে ‘ভয়ঙ্করভাবে পর্যুদস্ত’ করতে সরকার দীর্ঘদিন ধরে নীল নকশা করছে বলে অভিযোগ করেন এই বিএনপি নেতা।
রিজভী বলে, “খালেদা জিয়াকে এই সরকারের আন্দোলনের ফসলরাও দেশছাড়া করতে পারেনি। কারণ মাটি, মানুষ ও মৃত্তিকার সাথে জড়িত এক অনন্য নেত্রীর নাম বেগম খালেদা জিয়া।”এই রায়ের বিরুদ্ধে কী কর্মসূচি দেবেন জানতে চাইলে বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব বলেন, “আপনাদের মাধ্যমে আমি ঢাকাসহ সারাদেশে বিএনপির নেতা-কর্মীসহ জাতীয়তাবাদী শক্তি সকলকে আহ্বান করছি, আপনারা শান্তিপূর্ণভাবে গণতন্ত্রের সীমানার মধ্যে আপনাদের প্রতিবাদ করুন। আপনারা এগিয়ে আসুন রাজপথে। আপনারা নিজেরা বুলেট বরণ করবেন কিন্তু অন্যকে আক্রমণ করবেন না।

“সরকার নাশকতা করবেন, আপনাদের ওপর চাপানোর চেষ্টা করবে। আপনাদের দুই হাত হচ্ছে সবচাইতে অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের বিষয়, সেই দুই শূন্য তুলে ধরে এই অন্যায়ের প্রতিবাদ করুন।”

বিদেশ থেকে জিয়া এতিমখানা ট্রাস্টের নামে আসা দুই কোটি ১০ লাখ টাকা আত্মসাতের দায়ে সাবেক প্রধানমন্ত্রীকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেয় ঢাকার পঞ্চম বিশেষ জজ আখতারুজ্জামান।

দেশজুড়ে কঠোর নিরাপত্তা আর টান টান উত্তেজনার মধ্যে পুরান বকশীবাজারে জনাকীর্ণ আদালতে খালেদার উপস্থিতিতেই এই রায় হয়।

দশ বছর আগে জরুরি অবস্থার মধ্যে দুদকের দায়ের করা এ মামলার ছয় আসামির মধ্যে খালেদা জিয়ার বড় ছেলে বিএনপির জ্যেষ্ঠ ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান এবং মাগুরার সাবেক সাংসদ কাজী সালিমুল হক কামাল, সাবেক মুখ্য সচিব ড. কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী, প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ভাগ্নে মমিনুর রহমান ও ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদের হয়েছে দশ বছর করে কারাদণ্ড।

সেই সঙ্গে তাদের ২ কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার করে জরিমানা করেছেন বিচারক।

দলের কেন্দ্রীয় নেতা সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল,  নুরী আরা সাফা, নিলোফার চৌধুরী মনি, রাশেদা বেগম হীরা, বেবী নাজনীন, অপর্না রায় ও বেলাল আহমেদ এসময় উপস্থিত ছিলেন।