ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় এক কাজী প্রতারণার মাধ্যমে বাল্য বিয়ে করিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। বিষয়টি বুঝতে পারার পর বর নিজেই এ বিয়ে থেকে মুক্তি পেতে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর লিখিত আবেদন করেছেন।
আবেদন থেকে জানা যায়, পৌর এলাকার কলেজপাড়ার বাসিন্দা কে এম হারুনুর রশিদের ছেলে মো. মাহবুবুর রশিদের সঙ্গে স্থানীয় এক মেয়ের চলতি বছরের ২৪ ফেব্রুয়ারি বিয়ে হয়। স্থানীয় নিকাহ রেজিস্ট্রার (কাজী) মো. মাঈনুদ্দিনের মধ্যস্থতায় এ বিয়েটি সম্পন্ন করা হয়েছিল।
কাজী মাঈনুদ্দিন পরিচালিত একটি মাদ্রাসায় মেয়েটি পড়াশুনায় করে জানতে পেরে বরের পক্ষ থেকে বয়স সম্পর্কে জানতে চাওয়া হয়। এ সময় মাঈনুদ্দিন বিষয়টি এড়িয়ে গিয়ে কাবিনে স্বাক্ষর নিয়ে বলেন বয়স সম্পর্কে তিনি অবগত আছেন।
মাহবুবুর রশিদের ভাই মাহমুদুল হাসান বলেন, বিয়ের পর তারা বুঝতে পারেন যে মেয়ে দশম শ্রেণির ছাত্রী ও তার এখনো বিয়ের বয়স হয়নি। বিষয়টি কাজী মাঈনুদ্দিনকে আবার জানালেও তিনি পাত্তা দেননি। এমনকি বিয়ে কাবিন নামা চাইলেও সেটিও দিতে অস্বীকার করেন। এ নিয়ে বিচার চেয়ে ইউএনও বরাবার অভিযোগ করা হয়। ইউএনও’র কাছে গেলে তিনি সামাজিকভাবে মীমাংসার জন্য জানান।
এদিকে কাজী মো. মাঈনুদ্দিন বলেন, কনের বয়স কম বিধায় কাবিন রেজিস্ট্রি করা হয়নি। বয়স হওয়ার পরপরেই রেজিস্ট্রি করা হবে। তবে এ বিয়ে তিনি পড়াননি। এক মৌলভীর মাধ্যমেই বিয়েটি পড়ানো হয়েছে। সবাই বিষয়টি জানেন।














