ভাসানচরের রোহিঙ্গাদের জন্য পৌঁছে গেছে কুরবানির পশু

0
ভাসানচরের রোহিঙ্গাদের জন্য পৌঁছে গেছে কুরবানির পশু

নোয়াখালীর ভাসানচরে স্থানান্তর করা বাংলাদেশে আশ্রিত রোহিঙ্গাদের জন্য এবার কোরবানির ব্যবস্থা করেছে সরকার। এরই পরিপ্রেক্ষিতে বিভিন্ন এনজিওর মাধ্যমে সংগ্রহ করা ২৩৫টি গরু ইতিমধ্যে ভাসানচরে নিয়ে আসা হয়েছে।উপজেলার ১০টি পয়েন্টে গরুগুলোকে কোরবানির পর মাংস পৌঁছে দেওয়া হবে প্রতিটি পরিবারের কাছে।

ভাসানচরের ১ নম্বর ঘাটে ভেড়ানো রয়েছে নোয়াখালী থেকে আসা বেশ কয়েকটি কার্গো বোট। এসব কার্গো বোটে বিশেষ সিঁড়ি লাগিয়ে একে একে নামিয়ে আনা হয় কোরবারির জন্য আনা গরুগুলো। সেখানে ঘাটের পাশেই স্বাস্থ্য পরীক্ষার পর মাপা হচ্ছে ওজন। আর এ পুরো বিষয়টি তদারক করছেন নৌবাহিনী এবং শরণার্থীবিষয়ক কমিশনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

শরণার্থীবিষয়ক কমিশনের অতিরিক্ত কমিশনার মোহাম্মদ মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন, ডাটাবেস করেছি। প্রতিটি ক্লাস্টারে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। পশু কোরবানির পর প্রতিটি ঘরে ঘরে মাংস পৌঁছে দেওয়ার কাজ করবে এ কমিটির সদস্যরা।

জানা যায়, সাড়ে চার হাজারের বেশি রোহিঙ্গা পরিবারের কোরবানির জন্য ২২০টি গরুর চাহিদা থাকলেও তিনটি এনজিও সংস্থা মিলে এরই মধ্যে ২৩৫টি গরু সরবরাহ করেছে ভাসানচরের দায়িত্বশীল কর্মকর্তাদের কাছে। বর্তমানে ৩৮টি ক্লাস্টারে বসবাস করা রোহিঙ্গা পরিবারগুলোর মাঝে কোরবানি শেষে অতিদ্রুত মাংস বণ্টনের জন্য ১০টি পয়েন্ট চিহ্নিত করে দেওয়া হয়েছে। প্রতিটি পরিবারের কাছে কমপক্ষে দুই কেজি করে কোরবানির মাংস সরবরাহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।

এছাড়াও পশু কোরবানির আগে ভাসানচরের ওয়্যার হাউসে দুটি ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হবে বলে জানা গেছে। এর আগে এবারের পবিত্র ঈদুল ফিতরেও এখানে দুটি ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছিল, যা ছিল একসময়ের এ জনমানবহীন চরে প্রথম কোনো ঈদের জামাত।