ভৈরবে ২০ মাসে ট্রেনে কাটা পড়ে নিহত ৮৭

0
ঈদ স্পেশাল ট্রেন আজ থেকে শুরু

কিশোরগঞ্জের ভৈরবে গত ২০ মাসে ট্রেনে কাটা পড়ে ৮৭ জন নিহত হয়েছেন। অনিরাপদভাবে ট্রেন ভ্রমণ, চলন্ত অবস্থায় ট্রেনে ওঠানামা করা, অসতর্ক অবস্থায় রেললাইন পার হওয়া, ট্রেনের দুই বগির সংযোগস্থলে বসে ভ্রমণ করা, দরজার হাতলে ঝুলন্ত অবস্থায় ঝুঁকিপূর্ণ ভ্রমণের কারণেই এসব দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে জানায় রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ ।

ভৈরব রেলওয়ে থানা সূত্র হতে জানা যায়, টঙ্গী-ভৈরব বাজার ৭০ কিলোমিটার ও ভৈরব-বাজিতপুর ১৯ কিলোমিটার রেলওয়ে পথে গত ২০২০ সালে ৫৫ জন এবং ২০২১ সালের ১৯ আগস্ট পর্যন্ত ৩২ জন ট্রেনে কাটা পড়ে মারা গেছেন।

নিহতদের বেশিরভাগই পরিচয়হীন থাকায় পুলিশ নিজ উদ্যোগে তাদের কবরস্থানে দাফন করেছে। তবে কিছু ব্যক্তির পরিচয় পাওয়া গেছে, তাদের মৃতদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

রেলওয়ে পুলিশ জানিয়েছে, নিষেধ থাকলেও বগি স্বল্পতায় যাত্রীরা ট্রেনের ছাদে ভ্রমণ করে। এছাড়া ইদানীং কিছু কিছু কিশোর যুবক রেললাইনে হাঁটার সময় কানে হেডফোন লাগিয়ে রাখে। এ সময় চলন্ত ট্রেনের শব্দ না শুনে অনেকে ট্রেনে কাটা পড়ছে।

এ বিষয়ে ভৈরব রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ফেরদৌস আহমেদ বিশ্বাস বলেন, “ট্রেন ভ্রমণের সময় যাত্রী ও সাধারণ মানুষের অসতর্কতার কারণেই এসব যাত্রীরা দুর্ঘটনায় কবলে পড়ছেন। ট্রেনে কাটা পড়ে মারা যাওয়া ব্যক্তিদের বেশিরভাগই পরিচয় মেলেনি। এসব মরদেহ নিয়ে অনেক সময় পুলিশকে বিপাকে পড়তে হয়। এসব ঘটনায় থানায় অপমৃত্যু মামলা করা হয়।”