দেশের ২১তম রাষ্ট্রপতি হিসেবে কোনও রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বকেই বেছে নিতে চায় ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। সুশীল বা পেশাজীবী মহল থেকে কাউকে পরবর্তী রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত করার সম্ভাবনা নেই বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের শীর্ষ স্থানীয় নেতারা।
আওয়ামী লীগের শীর্ষ পর্যায়ের নেতাদের সঙ্গে কথা বলে পরবর্তী রাষ্ট্রপতি হিসেবে আলোচনায় তিনটি নাম উঠে এসেছে। এর মধ্যে রয়েছে বর্তমান রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের নামও। তবে তিনি দ্বিতীয় মেয়াদে রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হবেন কিনা, তা নির্ভর করছে তার শারীরিক সুস্থতার ওপর। আলোচনায় আরও রয়েছে জনপ্রশাসনমন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের নাম। সম্ভাব্য রাষ্ট্রপতি হিসেবে সাবেক তথ্যমন্ত্রী আবুল কালাম আজাদের নামও শোনা যাচ্ছে বিভিন্ন মহলে।
দলীয় সূত্রগুলো বলছে, দেশ ও দলের প্রতি আনুগত্য রয়েছে, ইমেজসম্পন্ন ও সুপরিচিত এবং রাজনীতিতে ত্যাগ-তিতীক্ষা রয়েছে— এমন ব্যাক্তিই হবেন পরবর্তী রাষ্ট্রপতি। আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর দুই সদস্য নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘চলতি বছরেই জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। এসময় দেশে অস্থিরতা তৈরির চক্রান্ত হতে পারে। সে ক্ষেত্রে অনাকাঙ্ক্ষিত কোনও পরিস্থিতি মোকাবিলা করার মতো বুদ্ধিমত্তাসম্পন্ন এবং সব মহলে গ্রহণযোগ্য কোনও রাজনৈতিক নেতাই হবেন দেশের পরবর্তী রাষ্ট্রপতি।’
এছাড়া, অতীত অভিজ্ঞতা সুখকর না হওয়ার কারণেই সুশীল সমাজ ও পেশাজীবী মহল থেকে কাউকে রাষ্ট্রপতি হিসেবে নির্বাচিত করা হবে না বলে জানিয়েছেন সরকারের প্রভাবশালী একজন মন্ত্রী।
এদিকে,আইনমন্ত্রী আনিসুল হক জানিয়েছেন, আগামী ১৯ ফেব্রুয়ারি পরবর্তী রাষ্ট্রপতি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। যদিও নির্বাচন কমিশন বলেছে, রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের বিষয়ে এখনও তারা চূড়ান্ত কোনও সিদ্ধান্ত নেয়নি।
উল্লেখ্য, আগামী ২৪ এপ্রিল বর্তমান রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের মেয়াদ শেষ হতে যাচ্ছে। আইন অনুযায়ী, রাষ্ট্রপতির মেয়াদ শেষ হওয়ার পূর্ববর্তী ৯০ থেকে ৬০ দিনের মধ্যে রাষ্ট্রপতি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এই হিসাবে, ২১তম রাষ্ট্রপতি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে হবে ২৪ জানুয়ারি থেকে ২২ ফেব্রুয়ারির মধ্যে।