আইসিসি প্রস্তাবিত এফটিপি সূচিতে ২০১৯ সালের মে থেকে ২০২৩ সালের মে পর্যন্ত পাকিস্তানের জন্য বরাদ্দ হয়েছে মাত্র ২৮টি টেস্ট। প্রতিষ্ঠিত টেস্ট দলগুলোর মধ্যে এ সময়ে পাকিস্তান আর নিউজিল্যান্ডই সবচেয়ে কম ম্যাচ পেয়েছে। আরও আশ্চর্যের ব্যাপার হলো, এই চার বছরে সবচেয়ে কম ওয়ানডে ম্যাচ পাওয়া দলটাও পাকিস্তান (৩৮ ম্যাচ)। আফগানিস্তান, জিম্বাবুয়ে কিংবা আয়ারল্যান্ডের মতো দলগুলো পর্যন্ত এই চার বছরে পাকিস্তানের চেয়ে বেশি ওয়ানডে ম্যাচ খেলবে।

এই ক্রিকেট সূচি চূড়ান্ত না হলেও প্রাথমিক একটা ধারণা পাওয়া গেছে। সেখানে দেখা যাচ্ছে ২০১৯-২০২৩ সময়ের মধ্যে মাত্র ৩৮টি ওয়ানডে খেলবে পাকিস্তান। এই সময়ে ৫০ ওভারের ম্যাচ আফগানিস্তান খেলবে ৪১টি, জিম্বাবুয়ে ৪০টি এবং আয়ারল্যান্ড ৪২টি। অর্থাৎ, এই চার বছরে ওয়ানডে সংস্করণে পাকিস্তানই সবচেয়ে কম ম্যাচ খেলবে। ওয়েস্ট ইন্ডিজ খেলবে সর্বোচ্চ ৬২ ম্যাচ এবং তারপরই ভারত (৬১ ম্যাচ)।
ক্রিকেটের প্রতিষ্ঠিত দলগুলোর মধ্যে এই চার বছরে টি-টোয়েন্টি সংস্করণেও অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে যুগ্মভাবে সবচেয়ে কম ম্যাচ পাচ্ছে পাকিস্তান। সমান ৩৮টি করে ম্যাচ পেয়েছে অস্ট্রেলিয়া ও পাকিস্তান। আয়ারল্যান্ডের মতো দলও এ সময় ৪২টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলবে। আগামী এফটিপিতে ম্যাচ খেলার সংখ্যায় পাকিস্তানের এই বেহাল দশা দেখে চটেছেন দেশটির ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি) চেয়ারম্যান নাজাম শেঠি। তাঁর পাল্টা যুক্তি, ভারতের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় সিরিজ খেলা জটিলতা কাটলেই কেবল পিসিবি প্রস্তাবিত এই সূচি অনুমোদন করবে।
তবে আইসিসির উদ্দেশে সরাসরি ক্ষোভ ঝেড়েছেন পিসিবির সাবেক প্রধান নির্বাহী আরিফ আলী আব্বাসি। তাঁর ভাষ্য, ‘পিসিবির প্রতি আইসিসির এমন আচরণের কারণ, তাদের যথাযথ অবকাঠামো এবং প্রয়োজনীয় জ্ঞান নেই। তারা সঠিক সময়ে সঠিক সিদ্ধান্ত নেয় না। তাই আইসিসির এ সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানানো অর্থহীন। তারা এ নিয়ে কিছু করবে না এবং ভারতীয় বোর্ডও তাদের সরকারের বিপক্ষে যাবে না।’
আব্বাসির মতে, আইসিসি সব সময়ই পাকিস্তানের স্বার্থের বিপক্ষে কাজ করেছে, ‘তারা বেশ আগে থেকেই পাকিস্তানের প্রতি অন্যায় করে আসছে। এটা খুব লজ্জার বিষয় যে ২০১৭ সালে বেশ কিছু ফরম্যাটে পাকিস্তান শীর্ষস্থান দখলের পাশাপাশি চ্যাম্পিয়নস ট্রফি জিতলেও টেস্টে নতুন বা দুর্বল দেশগুলোর তুলনায় কম ম্যাচ পেয়েছে।’ সূত্র : পিটিআই













