অল্প খেলেও পাবো পুষ্টি, বাড়তে দিব না ওজন

0

অতিরিক্ত ওজন যেন এক অভিশাপ। আয়নায় দাঁড়িয়ে বারবার নিজেকে দেখা। মুটিয়ে যাওয়া মানেই বয়স ভারী দেখাবে, আর তুলে রাখা পোশাকের মাপ নষ্ট হবে। কত বিড়ম্বনা!
ওজন কমানো

তাই আমরা নিজেদের স্বাস্থ্য কে স্বাভাবিক রাখতেই নানাপ্রচেষ্টায় ব্যস্ত থাকি। এরমাঝে ভুলের শেষ নেই আমাদের। সবচেয়ে বড় ভুল না খেয়ে ওজন কমানোর চেষ্টা করা।

ওজন পরিমিত রেখে সুস্বাস্থ্যের চাবিকাঠি লুকিয়ে থাকে ভারী খাবারের মাঝে হালকা পুষ্টিকর খাবারে। জেনে নিন ১৩টি হালকা পুষ্টিকর খাবারের নাম। এতে মধ্যাহ্নভোজ আর রাতে অতিরিক্ত খাওয়া কমাতে পারবেন।

১. কাজুবাদাম: গবেষণায় পাওয়া গিয়েছে কাজুবাদাম যদি একটু সময় নিয়ে ভাল করে চিবিয়ে খাওয়া যায় তা হলে অনেকক্ষণ খিদে কম লাগবে।

২. ছোলাবুট: বাসি পেটে ভেজানো ছোলা খাওয়া খুবই উপকারি। কাবলি ছোলা, মটর সন্ধ্যার নাস্তা হিসেবে খাওয়ার জন্য খুবই ভাল। একমুঠো খেলেই পেট ভরে যায়। শক্তি পাওয়া যায় দ্রুত। আবার ডায়াবেটিকদের জন্যও উপকারি।

৩. তাজা ফলমূল: ভাংগী, তরমুজ, চিনাই, পেঁপে, কলা, আঙুর জাতীয় ফল কেটে দিনের কোনও একটা সময় অবশ্যই নাস্তক হিসেবে খাওয়ার চেষ্টা করুন। বাইরে থাকলে ফল কেটে না নিয়ে গিয়ে গোটা আপেল, আঙুর, লেবু, কলা ব্যাগে রাখতে পারেন

৪. কালো চকোলেট: বিশেষজ্ঞরা বলেন প্রতিদিন ডায়েটে অল্প হলেও ডার্ক চকোলেট রাখুন।
ডার্ক চকোলেট রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে, খিদে কমাতে সাহায্য করে।

৫. সবুজ শাক-সব্জি: টাটকা ফলের মতো পুষ্টিকর টাটকা সব্জি। বাড়িতে থাকলে প্রাতরাশ এবং মধ্যাহ্নভোজে টাটকা সালাদ অবশ্যই খাবেন। অফিসেও গাজর স্লাইস, কড়াইশুঁটি ছাড়িয়ে, শশা-টোম্যাটো কেটে নিয়ে যেতে পারেন। তবে বেশিক্ষণ কাটা সবজি/ফল রাখবেন না। দ্রুত খাওয়ার চেষ্টা করবেন।

৬. ভুট্টা ভাজা/পপকর্ন: প্রসেসড ফুড হলেও পপকর্ন স্বাস্থ্যকর। চিজ বা ক্যারামেল পপকর্ন খাওয়া থেকে বিরত থাকুন, সাধারণ পপকর্ন খান। বাড়িতে বানাতে পারলেও আরও ভাল। পপকর্ন খুব সহজেই পেট ভরিয়ে রাখবে।

৭. টক দই: কিলোক্যালোরি কম কিন্তু পেট ভরাবে দই।
পেট ভরানোর সঙ্গে পুষ্টির কথা মাথায় রাখলে টক দই হতে পারে সবচেয়ে ভাল নাস্তা।

৮. শুকনো ফলমূল: ব্যাগে সব সময় রেখে দিতে পারেন শুকনো ফল। কিসমিস, কাজু, চিনাবাদাম, খুরমা, খেজুর। অফিসের ডেস্কেও বোতলে ভরে রাখা যায়। বেড়াতে গেলেও সঙ্গে রাখুন সাথে। রাস্তাঘাট, বাস, ফ্লাইট যে কোনও সময় খেতে পারেন। পুষ্টিকর নাস্তায় আপনাকে শক্তিও জোগাবে।

৯. ওটস: যদি ডিনারের পর বা মাঝ রাতে ঘুম ভেঙে হঠাৎ খিদে পায় তা হলে খান ওটস। ওটস যেমন পুষ্টিকর, তেমনই পেট ভরিয়ে ঘুম আনতে সাহায্য করবে।
ওটস কিলোক্যালোরি কম হলেও পেট ভরা রাখে অনেকক্ষণ।

১০. আপেল: যে কোন সময় নাস্তা হিসেবে জন্য সবচেয়ে ভাল আপেল। এই ফলের পুষ্টিগুণ সম্পর্কে আর নতুন করে কিছু বলার নেই। একটা আপেল ভরিয়ে রাখবে পেট।

১১.খেজুর: খেজুর খুবই ভাল ফল।
যা আপনার পেটের খিদাকে দমন রাখবে বেশকিছু সময় ধরে।
কয়েকটি খেজুর খেয়ে পানি খেলে নাস্তা হবে পুষ্টিকর।

১২.শুকনো রুটি: পাউরুটি কিংবা আটার রুটি আপনার ওজন বাড়াবে না, আবার পেট ও ভরা রাখবে।

১৩. সিদ্ধ নুডুলস: তেল ছাড়া সিদ্ধ নুডলুস খেতে পারেন। পেট ভরা থাকবে বেশ সময়।
বাড়িতে বানানো হলে আরো ভাল হয়।

লেখক: কুহু পরী

আপনার মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে