অতিরিক্ত সময়ে কপাল পুড়লো জাপানের

0
অতিরিক্ত সময়ে কপাল পুড়লো জাপানের

বেলজিয়ামের চেয়ে শক্তি-সামর্থ্যে ঢের পিছিয়ে ছিল জাপান। তবে খেলায় তা বিন্দুমাত্র বুঝা গেল না। শুরু থেকেই সমানতালে লড়ে গেল ব্লু সামুরাইরা। কিন্তু ভাগ্য সহায় না হওয়ায় অন্তিমলগ্নে হেরে স্বপ্নভঙ্গ হলো তাদের। ইনজুরি টাইমের শেষ মিনিটে অনাকাঙ্ক্ষিতভাবে গোল হজম করায় রাশিয়া বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনাল খেলা হলো না এশিয়ান প্রতিনিধিদের।

জাপানকে নাটকীয়ভাবে ৩-২ গোলে হারিয়ে শেষ আটে নাম লেখালো বেলজিয়াম।

রোস্তভ এরিনায় দ্বিতীয় রাউন্ডের ম্যাচে মুখোমুখি হয় বেলজিয়াম-জাপান। আক্রমণাত্মক শুরু করে বেলজিয়ানরা। তবে কম যাননি ব্লু সামুরাইরা। শুরু থেকেই সমানতালে লড়ে তারা। অ্যাটাক কাউন্টার অ্যাটাকে জমিয়ে তোলে খেলা। তবে গোল আদায় করতে পারেনি এশিয়ার দলটি। গোলমুখ খুলতে পারেননি এডেন হ্যাজার্ডরাও। দুর্দান্ত কয়েকটি সুযোগ পায় তারাও। ফলে প্রথমার্ধ থাকে গোলশূন্য।

এরপর খেলার দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই ভয়ঙ্কর রূপে আবির্ভূত হয় জাপান। ৪ মিনিটের ব্যবধানে বেলজিয়ামের জালে দু’বার বল জড়িয়ে অঘটনের আভাস দেয় দলটি। ৪৮ মিনিটে জেনকি হারাগুচির অসাধারণ এক গোলে এগিয়ে যায় তারা। আর ৫২ মিনিটে অবিশ্বাস্য গোল করে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন তাকাশি।

বেলজিয়াম ২-০ গোলে পিছিয়ে পড়ে খেলায় ফিরতে মরিয়া চেষ্টা চালায়। তাদের প্রচেষ্টা আলোর মুখও দেখে। ৬৯ মিনিটে নিশানাভেদ করেন ইয়ান ভার্তুঙ্গেন। এর মিনিট পাঁচেক পর সফল লক্ষ্যভেদে দলকে সমতায় ফেরান মারৌয়েন ফেলাইনি।

আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণে এগিয়ে চলে খেলা। ৯০ মিনিট পর্যন্ত তাতে ছিল সমতা। ফলে ম্যাচ গড়াচ্ছে অতিরিক্ত সময়ে তা ধরে নেয়া হচ্ছিল। কিন্তু নাটকেরর তখনো ঢের বাকি ছিল। ৯৪ মিনিটে কাউন্টার অ্যাটাকে উঠে বেলজিয়াম। মুনিয়েরের ক্রস ডি-বক্সে ছেড়ে দেন লুকাকু। আলতো ছোঁয়ায় তা জালে ঠেলে দেন নাসের শাদলি। এতে কপাল পুড়ে জাপানের।