খাগড়াছড়ি জেলার সরকারি কলেজের ছাত্রীদের কমনরুমের টয়লেট থেকে উদ্ধার হওয়া নবজাতকের স্থান হলো স্মৃতি বিকাশ চাকমা ও অন্বেষা খীসা দম্পতির ঘরে।
ছয়জন প্রার্থীর আবেদনের প্রেক্ষিতে সকলের বক্তব্য ও শুনানি শেষে আদালত স্মৃতি ও অন্বেষা দম্পতিকে লালন-পালন ও ভরণপোষণের রায় দেন।
মঙ্গলবার দুপুরের দিকে খাগড়াছড়ির জেলা ও দায়রা জজ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মোঃ আবু তাহের এ রায় জানান।
সকল প্রার্থীর সম্পত্তি, সামাজিক অবস্থান ও শিক্ষাসহ সব বিষয়ে অবগত হওয়ার পর চিকিৎসক ও প্রফেশনাল অফিসারসহ সকলের বক্তব্য পর্যবেক্ষণ করে বিচারক এ রায় জানান।
নবজাতক কোন সম্প্রদায়ের তা আদালতকে নিশ্চিত করেন খাগড়াছড়ি আধুনিক জেলা সদর হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. রিপল বাপ্পি চাকমা।
রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করে আবেদনকারী স্মৃতি বিকাশ চাকমার আইনজীবী আফসার হোসেন রনি বলেন, নব্জাতক্টিকে নিজেদের সন্তান হিসেবে পেয়ে স্মৃতি বিকাশ চাকমা ও অন্বেষা খীসা দম্পতি অত্যন্ত খুশি হন।
আইনজীবি আফসার হোসেন রনি সহ খাগড়াছড়ি জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি ও সিনিয়র আইনজীবী অ্যাডভোকেট আশুতোষ চাকমা শুনানিতে অংশ নেন।
খাগড়াছড়ির সমাজসেবা অফিসার নাজমুল হাসান গণমাধ্যমকে বলেন, আদালতের আদেশের অনুলিপি পাওয়ার পর শিশুটিকে স্মৃতি বিকাশ চাকমা ও অন্বেষা খীসা দম্পতির কাছে হস্তান্তর করা হয়।
