অস্ট্রেলিয়ার নিউক্যাসল বিশ্ববিদ্যালয় এর পিএইচডি ডিগ্রী গবেষক ও ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় এর ফলিত রসায়ন ও কেমিকৌশল বিভাগের সহকারী অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম তার গবেষণার জন্য সেরা পুরস্কার লাভ করেন। সোসাইটি অব টক্সিকোলজি অ্যান্ড কেমিস্ট্রি, অস্ট্রেলিয়া তাকে এ পুরস্কার প্রদান করে।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, পিএইচডির গবেষক হিসেবে স্কুল অব এনভায়রনমেন্টাল অ্যান্ড লাইফ সায়েন্সেস, দ্য ইউনিভার্সিটি অব নিউক্যাসল, অস্ট্রেলিয়ায় কর্মরত আছেন অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম। রফিকুল ইসলামের গবেষণার বিষয়বস্তু হলঃ ‘প্রজনন হরমোনাল যৌগ ও তাদের সামুদ্রিক এবং মোহনার জলজপ্রাণীর ওপর বিরূপ প্রভাব’।
তিনি ও তার গবেষক দল অস্ট্রেলিয়ার সিডনি রক ওয়েস্টারের ওপর গবেষণায় দেখিয়েছেন, কীভাবে এই হরমোনগুলোর প্রভাবে প্রাপ্তবয়স্ক প্রাণীগুলো পুরুষ থেকে উভলিঙ্গ, এমনকি নারী হয়ে যাচ্ছে। কীভাবে পুরুষগুলো যৌন দুর্বলতায় বা অস্বাভাবিকতায় ভুগছে এবং এই প্রভাব তাদের বাচ্চাদের ওপর যাচ্ছে। এমনকি বাচ্চাদের মেরে ফেলছে ও বৃদ্ধি বিলম্ব হচ্ছে। এই প্রভাবের উচ্চমাত্রা অন্যান্য জলজপ্রাণী ও মানুষের ওপর প্রভাব ফেলতে পারে।
সম্প্রতি তিনি তার গবেষণায় প্রমান করেছেন, কীভাবে হরমোনগুলো রক ঝিনুকের দেহে অপরিহার্য উপাদান যেমন- লিপিড, অ্যামিনো অ্যাসিড, কার্বোহাইড্রেট, ট্রাইকারবক্সিলিক অ্যাসিডচক্রের মধ্যবর্তী উপাদান ও শক্তি উৎপাদন ব্যাহত করছে, যা কিনা প্রাপ্তবয়স্ক প্রাণী ও তাদের বাচ্চাদের ওপর প্রভাব ফেলছে প্রতিনিয়ত।
গত ৩০ আগস্ট এনভায়রনমেন্টাল টক্সিকোলজি অ্যান্ড কেমিস্ট্রি, অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্ন সম্মেলনে উপস্থাপনা করা হয় তাদের গবেষণা, যা সেখানে সবচেয়ে সেরা গবেষণার সম্মান লাভ করে। গবেষণাটি ইতিপূর্বে মর্যাদাপূর্ণ জার্নাল ‘এলসেভিয়ার অ্যাকুয়াটিক টক্সিকোলজি’তে প্রকাশিত হয়েছে।
গবেষক রফিকুল ইসলাম গনমাধ্যমকে বলেন, প্রকাশনাটি শুধু অস্ট্রেলিয়ায় নয় বরং ২০২১ সালে বিশ্বব্যাপী সেরা প্রকাশনা ছিল। অস্ট্রেলিয়া ও এশিয়া মহাদেশ থেকে সেরা প্রতিযোগীরা এ প্রকাশনা প্রতিযোগীতায় অংশ নেন। এ গবেষণা পুরষ্কার আমাদের জন্য একটি বড় প্রাপ্তি।