যিশুখ্রিস্ট, যাঁকে ক্রুশবিদ্ধ হতে হয়েছিল। পরম ধামে যাওয়ার পথ বাতলে দেওয়া সেই যিশুর জন্মদিন আজ। আজ শুভ বড়দিন। খ্রিস্ট ধর্মাবলম্বীদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব। অন্ধকারে আলো জ্বেলেছিলেন। দেখিয়েছিলেন মুক্তির পথ, যে পথে চললে জীবন হয়ে ওঠে শান্তিময়।
খ্রিস্ট ধর্মের প্রবর্তক যিশুখ্রিস্ট বেথেলহেমে জন্ম নিয়েছিলেন আজকের দিনে। ঈশ্বরের মহিমা প্রচার এবং মানবজাতিকে সত্য ও ন্যায়ের পথে পরিচালিত করতে পৃথিবীতে এসেছিলেন যিশু। আজ তাঁরই জন্মদিনের নতুন উচ্ছ্বাসে, আলোকপ্রভায় দেখা দেবে নতুন দিন। শুদ্ধ মনে শুধুই আলো নেচে উঠবে চারধারে।
আজ সোমবার বিভিন্ন দেশের মতো বাংলাদেশেও খ্রিস্ট ধর্মাবলম্বীরা বড়দিন পালন করবে যিশুর প্রতি পরম শ্রদ্ধায়।
এরই মধ্যে বড় বড় হোটেল ও ভবন সাজানো হয়েছে নানা আলোয়। রাজধানীর বিভিন্ন গির্জা ও আশপাশের এলাকা রঙিন আর জরি দিয়ে সুসজ্জিত করা হয়েছে। সাজানো হয়েছে ক্রিসমাস ট্রি। এভাবে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে চূড়ান্ত প্রস্তুতি শেষে দিনটি পালন করা হবে বিশেষ অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে।
আজ বড়দিন উপলক্ষে সরকারি ছুটি। গতকাল রবিবার এ উপলক্ষে পৃথক বাণী দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, জাতীয় সংসদে বিরোধীদলীয় নেতা রওশন এরশাদ । বাণীতে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বলেন, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ বাংলাদেশ। আবহমানকাল ধরে এ দেশে সব ধর্মের মানুষ পারস্পরিক ভালোবাসা ও সম্প্রীতির বন্ধনে আবদ্ধ। বিদ্যমান সম্প্রীতির এই সুমহান ঐতিহ্যকে আরো সুদৃঢ় করতে ধর্ম-বর্ণ-নির্বিশেষে সবাইকে নিজ নিজ অবস্থান থেকে অবদান রাখতে হবে।