শুক্রবার ফজর নামাজের পর বয়ানের মধ্য দিয়ে শুরু হয় টঙ্গীর তুরাগ নদের তীরে পাঁচ দিনের জোড় ইজতেমা। বিশ্ব ইজতেমার আগে অনুষ্ঠিত এই বিশেষ ইজতেমায় শুধু যারা তিন চিল্লা (৪০ দিনে এক চিল্লা) দিয়েছেন সাধারণত তারাই অংশ নেন। আগামী মঙ্গলবার মোনাজাতের মাধ্যমে শেষ হবে এই ইজতেমা।
এই দিকে বিশ্ব ইজতেমার আয়োজক কমিটি সূত্রে জানা গেছে, ২০১৮ সালের ১২ জানুয়ারি থেকে ৫৩তম বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব শুরু হবে। প্রথম পর্ব শেষ হওয়ার পর চার দিন বিরতি দিয়ে ১৯ জানুয়ারি থেকে দ্বিতীয় পর্বের তিন দিনব্যাপী বিশ্ব ইজতেমা শুরু হবে। প্রথম পর্বের শেষ দিন ১৪ জানুয়ারি ও দ্বিতীয় পর্বের শেষ দিন ২১ জানুয়ারি সারাবিশ্ব মুসলিম জাহানের সুখ, শান্তি, কল্যাণ, অগ্রগতি, ভ্রাতিত্ববোধ কামনা করে আখেরি মোনাজাত অনুষ্ঠিত হবে। আর এই আখেরি মোনাজাতে দেশি বিদেশি মুসল্লি, তাবলিগ অনুসারী, বাংলাদেশসহ বিশ্বের শতাধিক দেশের প্রায় অর্ধকোটি মানুষ শরিক হবেন বলে ধারণা করছে বিশ্ব ইজতেমার আয়োজক কমিটি।
ইজতেমার আয়োজক কমিটির মুরুব্বি মাওলানা গিয়াস উদ্দিন আহমদ জানান, টঙ্গীর তুরাগ তীরে প্রতি বছরের মতো এবারও সুবিশাল চটের সামিয়ানা দিয়ে ঢেকে দেওয়া হয়েছে। তুরাগ নদীর পাড়ে পাঁচ দিনের জোড় ইজতেমায় তিন চিল্লাওয়ালা পুরানো সাথীরা অংশগ্রহণ করবেন। প্রতি বছর বিশ্ব ইজতেমা শুরু হওয়ার আগে পাঁচ দিনের এই জোড় ইজতেমা অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে।
পাঁচ দিনব্যাপী জোড় ইজতেমায় ঢাকা জেলার তবলিগ জামাতের মুসল্লিসহ দেশি-বিদেশি লাখো ধর্মপ্রাণ মুসল্লি অংশগ্রহণ করবেন। পাঁচ দিনব্যাপী এই সম্মেলনে কালেমা, নামাজ, ইমান-আমলসহ ছয় উসুল সম্পর্কে দেশি-বিদেশি শীর্ষ মুরব্বিরা বয়ান করেন। এছাড়া মুসল্লিদের উদ্দেশে ইজতেমার গুরুত্ব ও তাৎপর্য তুলে ধরা হবে। পরবর্তী সময়ে তারা জোড় শেষে আবার ইসলামের দাওয়াতের কাজে বের হবেন এবং আগামী বছর বিশ্ব ইজতেমার মূল পর্বে শরিক হবেন।
টঙ্গী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. ফিরোজ তালুকদার বলেন, বৃহস্পতিবার থেকেই চারশ পুলিশ সদস্য ইজতেমা ময়দান ও এর আশপাশের এলাকায় মোতায়েন করা হয়েছে। ইজতেমা ময়দান ও এর আশপাশের এলাকায় পর্যাপ্ত সিসি ক্যামেরা স্থাপনের মাধ্যমে সিসি টিভির আওতায় আনা হয়েছে। ইজতেমায় আগত বিদেশি মুসল্লিদের জন্য পর্যাপ্ত পুলিশ সদস্য ও সাদা পোশাকে গোয়েন্দা পুলিশ নিয়োজিত করা হয়েছে।