এই ভদ্রলোক যে সিঁড়ি দিয়ে নামছেন, সেটা সোনার। উনি যে কমোডে হাগেন, সেটাও সোনার। বিদেশে গেলে উনার হাজার টন লাগেজ লাগে। উনি আবার যা-তা আসবাবপত্র ব্যবহার করতে পারেন না, দেশ থেকে নিয়ে যান, যেখানেই যান না কেন; সিঁড়ি-কমোডও বাদ যায় না। উনার হাজার দেড়েক সফরসঙ্গী লাগে। যে দেশে যান, সেখানকার সবচেয়ে দামী হোটেল পুরোটাই বুক করা লাগে উনার। সবচেয়ে মনোরম সমুদ্রসৈকত কয়েক দিনের জন্য বন্ধ থাকে, উনার ব্যবহারের জন্য।
উনার ব্যক্তিজীবন অর্থাৎ বিবি-বাচ্চার সঠিক হিসাব জানা নেই।
উনি একজন বাদশাহ। সেই দেশের বাদশাহ, যেই দেশ একটি ধর্মের প্রতীক। যেই দেশের আয়ের অন্যতম প্রধান উৎস সারা বিশ্বের ধর্মপ্রাণ মানুষের সেই দেশে তীর্থগমন।
উনি ভীষণ যুদ্ধবাজ। লক্ষ কোটি টাকা কিংবা হাজার কোটি ডলারের যুদ্ধাস্ত্র উনি অহরহই কেনেন। এই তো ক’দিন আগেই আমেরিকার কাছ থেকে নয় লক্ষ কোটি টাকার অস্ত্র কিনলেন। আবার এখন রাশিয়ার গিয়েছেন, সেখান থেকেও হাজার কোটি ডলারের অস্ত্র কিনবেন বলেই মনে হচ্ছে।
উনার যুদ্ধের টার্গেট কারা জানেন? অসহায় মানুষেরা। উনি সিরিয়া, লিবিয়া আর ইরাককে ধ্বংস করেছেন। এখন ইয়েমেনের প্রধান বন্দর ধ্বংস করে দুই কোটি লোককে দুর্ভিক্ষের দিকে ঠেলে দিচ্ছেন।
কাতারের উপর অবরোধ আরোপ করে সেদেশের মানুষের জীবনকে কঠিন করে তুলেছেন। স্বধর্মের লোকদের ধ্বংস করে উনি বিমলানন্দ লাভ করেন।
উনার সকল কর্মকান্ডের মূল উদ্দেশ্য কি, জানেন? উনার সিংহাসন রক্ষা।
বড় ভাইয়ের মৃত্যুর পর উনি সিংহাসন পেয়েছেন। উত্তরাধিকারসূত্রে সিংহাসনে পরবর্তীতে আসীন হওয়ার কথা উনার ভাইপো অর্থাৎ বড় ভাইয়ের ছেলের। সেই ন্যায্য অধিকার থেকে ভাইপোকে বঞ্চিত করেছেন উনি। নিজের ছেলেকে সিংহাসনের উত্তরাধিকারী ঘোষণা করে রুল জারি করেছেন।
শূরা কিংবা সাদা মেয়েমানুষের প্রতি উনার এবং উনার পরিবারের সদস্যদের দূর্বলতার কথা সারা পৃথিবীর মানুষেরা জানে। উনাদেরকে অল্পতেই কিনে ফেলা যায়, সেটাও চালাক রাষ্ট্রের কর্ণধাররা ভালো করেই জানেন।
বটম লাইনটা মনে এসেছে, লিখতে মন সায় দিচ্ছে না। আপনারা না আবার আমাকে মুরতাদ, নাস্তিক কিংবা কাফের বানিয়ে দেন…।
লেখক: চন্দন আজিজ