মহানবী (স) এর নব্যুয়ত এর দাবিতে বিরক্ত, বিব্রত কুরাইশরা তাদের মধ্যে থেকে দুইজন কে মদীনায় থাকা ইহুদী পন্ডিতদের কাছে পাঠালো মুহম্মদ (স) এর নব্যুয়ত সম্পর্কে তাদের কি ধারনা জানতে। ইহুদী পন্ডিতরা তাদের দুজন কে বলে দেয়-
তাঁকে কাছে তিনটা বিষয় জানতে চাইবে-
১। তাঁকে ঐসব যুবকদের কথা জিজ্ঞেস কর যারা অতীতে শহর ছেড়ে গুহায় আশ্রয় নিয়েছিল
২। তাঁকে সেই ব্যক্তির কথা জিজ্ঞেস কর যে সারা ভ্রমণ করেছিল
৩। তাঁকে রুহ সম্পর্কে জিজ্ঞেস কর
সে যদি এসব প্রশ্নের সঠিক উত্তর দিতে পারে তাহলে বুঝবে সে আল্লাহর রাসুল। আর উত্তর না দিতে পারলে বুঝবে সে মিথ্যা নব্যুয়ত এর দাবী করছে!
(এখানে প্রথম প্রশ্নে আসহাবে কাহাফ নামে বহুল পরিচিত যুবকদের কথা বলা হয়েছে, ২য় প্রশ্নে যুলকারনাইন নামক বাদশাহর কথা বলা হয়েছে)
এরপর কুরাইশরা মহানবী (স) এর কাছে গিয়ে প্রশ্নগুলো উত্থাপন করল। মহানবী (স) বললেন – আগামীকাল আমি উত্তরগুলো দিব।
কুরাইশরা বিদায় নিলে, মহানবী (স) ওহীর অপেক্ষা করতে থাকলেন। কিন্তু পরদিন অতিবাহিত হয়ে গেল, কোন ওহী আসল না! আরো কয়েকদিন পরেও কোন ওহী না আসায় মহানবী (স) উত্তর দিতে পারছেন না, ফলে কুরাইশরা মহানবী (স) কে নিয়ে ঠাট্টা বিদ্রুপ শুরু করল। ১৫ দিন পর জিব্রাইল (আ) ওহী (সুরা কাহফ) নিয়ে আসলেন এবং এই বিলম্বের কারনও জানালেন!
মহানবী (স) যখন বলেছিলেন – আগামীকাল উত্তর দিব, তখন ইনশাআল্লাহ বলেছিলেন না। তাই এ বিষয়ে সতর্ক করার জন্য এই বিলম্ব করা হয়েছে! ভবিষ্যতে এমন কোন কথা বললে ইনশাআল্লাহ (যদি আল্লাহ চান) বলতে যেন ভুল না হয়।
“আপনি কোন কাজের বিষয়ে বলবেন না যে “আগামীকাল করব”; বলা ব্যতিরেকে। যখন ভুলে যাবেন তখন আপনার পালনকর্তাকে স্মরণ করুন এবং বলুন “আশাকরি আমার পালনকর্তা আমাকে এর চাইতেও নিকটতম সত্যের পথ দেখাবেন!”
(২৩-২৪, সুরা কাহফ)
এই ঘটনা থেকে বুঝা যায় আমরা যখন কোন কাজ করার কথা বলব তখন ইনশাআল্লাহ বলা কত জরুরী! কারন আল্লাহ এর সাহায্য ব্যতীত কোন কাজই আমাদের দ্বারা করা সম্ভব নয়!
এরকম খুশির খবরে, নিজের ভাল থাকার কথা বলার সময় কিংবা অন্যের ভাল খবরে আলহামদুলিল্লাহ, মাশাআল্লাহ বলা, অবাক হওয়ার মত কিছুতে সুবাহানআল্লাহ, আল্লাহু আকবর বলা উচিত!
আল্লাহ সবাইকে এইসব আমল করার তাওফিক দিন, আমীন!