ইনস্টাগ্রামে পোস্টের পরতে পরতে ক্ষোভ ঝেড়েছেন নেইমারের বাবা

0
নেইমার

প্রায় ৩০০ শব্দের দীর্ঘ এক পোস্ট দিয়েছেন নেইমারের বাবা। সঙ্গে একটা ছবি। নেইমার ক্লান্ত পায়ে বার্নাব্যুর মাঠে হাঁটছেন। সামনে ডানা মেলে তাঁকে গ্রাস করার অপেক্ষায় যেন একটা শকুন! ইনস্টাগ্রামে দেওয়া সেই পোস্টের পরতে পরতে ক্ষোভ ঝেড়েছেন নেইমারের বাবা।
নেইমার
চ্যাম্পিয়নস লিগের গত ম্যাচ ছিল নেইমার ও নতুন পিএসজির প্রথম বড় পরীক্ষা। তাতে নেইমার পাস করেননি। এরপর নিন্দুকেরা যেন হামলে পড়েছে নেইমার ও পিএসজির ওপর। ফ্রান্সে চলছে তুমুল সমালোচনা। এত এত মিলিয়ন মিলিয়ন ইউরো ঢেলে লাভ হলো কী।

এই সমালোচকদের পাল্টা জবাব দিলেন নেইমারের বাবা। নিন্দুকদের শকুনের সঙ্গে তুলনা করে দীর্ঘ পোস্টে তিনি লিখেছেন, ‘যুদ্ধে কেউ কেউ বিজয়ীদের জয়গান গায় আর কেউ কেউ আছে, শকুনের মতো, যারা পরাজিতের লাশ ঠুকরে খায়। এই মানুষগুলো আসলে কিছুই করে না, কোনো কাজের না। এরা বেশির ভাগ সময় আলোচনা থেকে দূরে থাকে, তাদের শিকারের সংগ্রাম থেকে দূরে থাকে। ফুটবলের পৃথিবীতে এই লোকগুলোকে আমরা শকুনের মতো আচরণ করার জন্য চিনি। কখনো কখনো এই সাদামাটা ফুটবল ক্যারিয়ার কাটানো সমালোচকের দল, সব সময় তাদের চেয়ে প্রতিভাবান এমন কারও ছায়া থাকার এই দলটা নিজের ক্ষোভ উগরে দিতে উঁচু আওয়াজের মাইক্রোফোনের সুবিধা নেয়। নিজের শিকার শুরু করতে তারা সুবিধা নেয় একটা পরাজয়ের, একটা হেরে যাওয়া লড়াইয়ের যুদ্ধের। নিজের অহংকে তুষ্ট করতে এরা ওত পেতে থাকে একটা পরাজয়ের অপেক্ষায়, শকুনেরা যেভাবে গলিত লাশকে খায়।’

নেইমারের বাবা সতর্কবাণী উচ্চারণ করে বলেছেন, ‘মনে রাখবেন, আমরা একটা লড়াই হেরেছি, পুরো যুদ্ধটা নয়। আমার সন্তানের যুদ্ধটা তার শৈশব থেকেই শুরু হয়েছে। আমার সন্তান সব সময় সেরাটাই লড়ে এসেছে, শকুনদের ব্যর্থ করেছে, নতুন করে ফিরে এসেছে আগের চেয়ে শক্তিশালী হয়ে। সবচেয়ে বড় কথা, সবাইকে শ্রদ্ধা করেছে, এমনকি শকুনগুলোকেও। আমরা হয়তো একটা লড়াই হেরেছি, দেখা যাক যুদ্ধটাও হেরেছি কি না। কারণ যতক্ষণ সে মাঠে থাকবে, লড়াইটা যে চালিয়ে যাবেই। এবং নিশ্চিত থাকুন…ফিনিক্স পাখির মতো ও আবার জন্ম নেবে, সামনে যে যুদ্ধটা আছে, সেটার জন্য তৈরি থাকবে।’

নেইমার সিনিয়র উপসংহার টেনেছেন, ‘হয়তো হে শকুন, তুমিও ক্ষুধার্তই থেকে যাবে। তুমি কেবল তোমার কথাগুলো গিলতে পারো, মরা লাশের মতো।’

৬ মার্চ ফিরতি লেগ। নিজেদের মাঠে পিএসজি ২-০ গোলে জিতলেও কোয়ার্টার ফাইনালে চলে যাবে।