একটি ফোন কলেই ঘরের দুয়ারে খাদ্য পৌঁছে দেবে টিম হটলাইন!

0

করোনার ভয়াবহতা আর লকডাউনে যখন বিপর্যস্ত পুরো দেশ ঠিক তখনি মাগুরায় করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের পাশে এসে দাঁড়িছে ‘হটলাইন টিম’। ২৪ ঘণ্টার যে-কোনো সময়ে খাবার বা অক্সিজেনের জন্য কেউ ফোন দিলেই বাড়িতে গিয়ে এসব সামগ্রী পৌঁছে দিচ্ছেন এই টিমের সদস্যরা। এছাড়া করোনা মোকাবিলায় সরকারি নির্দেশনা মোতাবেক স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে জেলার বিভিন্ন এলাকায় সচেতনামূলক প্রচারণাও চলাচ্ছেন তারা।

হটলাইন টিমের সমন্বয়ক ও জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক ফজলুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, করোনা মহমারিতে মানুষের পাশে দাঁড়াতে মাগুরা-১ আসনের সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট সাইফুজ্জামান শিখর এই হটলাইন টিমটি গঠন করেন। করোনায় ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য স্বেচ্ছাশ্রমে দিন রাত কাজ করছেন আমাদের টিমের অন্তত ৫০ জন স্বেচ্ছাসেবী।

তিনি আরও বলেন, তাদের টিম করোনা আক্রান্ত রোগীদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে ফল আর ওষুধও সরবরাহ করছেন। পাশাপাশি ইতিমধ্যে করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত ৪ হাজার অসচ্ছল, অসহায় দরিদ্র মানুষের বাড়িতে শিশু খাদ্যসহ নানারকম খাদ্যসামগ্রী পৌঁছে দিয়েছেন তারা। যে কেউ তাদের হটলাইন নাম্বারে (01961581791) ফোন দিলে রাতের আঁধারেও খাবার পৌঁছে দিচ্ছে টিমের সদস্যরা। এছাড়া অনেক মধ্যবিত্ত ও নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারের পক্ষ থেকে কেউ হটলাইনে ফোন দিলে পরিচয় গোপন রেখেই খাদ্য সমাগ্রী পৌঁছে দেয়া হচ্ছে তাদের বাড়িতে। পাশাপাশি করোনায় আক্রান্ত কোনো রোগীর অক্সিজেনের প্রয়োজন হলেও বাড়িতে গিয়ে অক্সিজেন সিলিণ্ডার পৌঁছে দিচ্ছন তারা। এ কাজ করতে গিয়ে তাদের টিমের কয়েকজন সদস্য এরই মধ্যে করোনায় আক্রান্ত হয়েছে বলে জানা গেছে। এরপরও মানব সেবায় তাদের এ কাজ অব্যাহত আছে এবং ভবিষ্যতেও থাকবে বলে তারা দৃঢ় প্রতিজ্ঞাবদ্ধ।

জেলা প্রশাসক ড. আশরাফুল আলম জানান, করোনা মহামারির সময়ে জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনের পাশাপাশি স্বেচ্ছা শ্রমের ভিত্তিতে জেলায় রেডক্রিসেন্ট সোসাইটি, স্কাউট ও হটলাইন টিম ইত্যাদি স্বেচ্ছাসেবক সংগঠন কাজ করে যাচ্ছে। বিশেষ করে নতুন এই হটলাইন টিমের কাজ সবার দৃষ্টি কেড়েছে। হটলাইন টিমের মতো আমাদের সবাইরই উচিত করোনা মোকাবিলায় এগিয়ে আসা।

মাগুরা-১ আসনের সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট সাইফুজ্জামান শিখর বলেন, ‘করোনা পরিস্থিতিতে মানুষকে সেবা দেয়ার উদ্দেশ্যেই হটলাইন টিম গঠন করা হয়েছে। করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত’দের খাদ্য, ওষুধ অক্সিজেনসহ সবধরনের সহযোগিতা করার চেষ্টা আমাদের টিম করে যাচ্ছে। আমাদের লক্ষ্য করোনাকালে একটি মানুষও না খেয়ে থাকবে না।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমি শুরু থেকে এই বিষয়টি সমন্বয়ের কাজ করে যাচ্ছি। পাশাপাশি জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসন, জেলা পরিষদ, পৌরসভা, উপজেলা পরিষদ, ইউনিয়ন পরিষদসহ সবাই-ই এ কাজে সহযোগিতা করছে।