একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তির মৃত্যুতে দিশেহারা পরিবার

0
একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তির মৃত্যুতে দিশেহারা পরিবার

মোমেনা বেগম, বয়স ৫৭ বছর। কর্মরত ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের গভর্নমেন্ট মডেল গার্লস হাই স্কুলের অফিস সহায়ক পদে। তার পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি ছিলেন তিনি। কিন্তু পুরো পরিবারকে অনিশ্চয়তায় ভাসিয়ে অকালেই পৃথিবী থেকে বিদায় নিতে হলো তাকে। ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিজয়নগর উপজেলার ট্রলারডুবির ঘটনায় নিহত হন মোমেনা বেগম।

শুক্রবার সকালে স্বামী আবু সাঈদের সঙ্গে অসুস্থ আত্মীয়কে দেখার উদ্দেশ্যে গিয়েছিলেন বিজয়নগর উপজেলার চম্পকনগরে। বিকেলে বাড়িতে ফেরার পথে বালুবোঝাই ট্রলারের সাথে ধাক্কা লেগে যাত্রীবাহী ট্রালারডুবির ঘটনায় নিহত হন মোমেনা। স্বামী বৃদ্ধ আবু সাঈদ প্রাণে বেচেঁ গেছেন।

শনিবার সকালে দক্ষিণ পৈরতলায় নিজ বাড়ির পাশে কবরস্থানে মোমেনাকে দাফন করা হয়েছে।

নিহতের ছোট ছেলে ফাহিম গণমাধ্যমকে জানান, ‘আমাদের এক আত্মীয়কে দেখে ফেরার পথে নৌ দুর্ঘটনায় আমার মা মারা গেছেন। কিন্তু বাবা প্রাণে বেঁচে গেছেন। চোখের সামনে স্ত্রীর মৃত্যু দেখে বাবা বাকরুদ্ধ।’

অকালে মাকে হারিয়ে দিশেহারা সন্তান ফাহিম আরও বলেন, ‘আমার বাবা হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ায় কোনো কাজকর্ম করতে পারেন না। আমরা চার ভাইবোন। মায়ের বেতনে যে টাকা আসে, তা দিয়েই আমাদের সংসার চলতো। দীর্ঘদিন যাবৎ তিনি গার্লস হাই স্কুলে চাকরি করছেন। সাড়ে তিন বছর পর তিনি অবসরে চলে যেতেন। আমাদের সংসার তার নিজ হাতে গড়া। ঘরে বিয়ের উপযুক্ত একমাত্র বোনও রয়েছে। এখন কী করবো আমরা, ভেবে পাচ্ছি না। বড় ভাইটি টাইলস ফিটিংয়ের কাজ শিখছেন। আমি নিজেও বেকার।’