এপ্রিলে প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্স দ্বিগুণ

0
এপ্রিলে প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্স দ্বিগুণ

করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ধাক্কার মধ্যেও অব্যাহত আছে প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্স বৃদ্ধির ধারা। এপ্রিল মাসে প্রবাসীরা প্রায় ২০৭ কোটি ডলার সমপরিমাণ অর্থ দেশে পাঠিয়েছেন। আগের বছরের একই মাসে এসেছিল ১০৯ কোটি ডলার। এ হিসেবে এবারের এপ্রিলে প্রায় দ্বিগুণ রেমিট্যান্স এসেছে। এতে করে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ গিয়ে ঠেকেছে চার হাজার ৪৯৫ কোটি ডলার বা ৪৪ দশমিক ৯৫ বিলিয়ন ডলারে।

করোনাভাইরাসের এই সময়ে অর্থনীতির অধিকাংশ ক্ষেত্রে খারাপ অবস্থা তৈরি হলেও রেমিট্যান্স অন্য যেকোনো সময়ের তুলনায় বাড়ছে। যদিও করোনার প্রভাব শুরুর পর বিশ্বব্যাংক, আইএমএফসহ বিভিন্ন সংস্থা থেকে বলা হয়েছিল, বাংলাদেশের রেমিট্যান্স কমবে। শুরুর পর গতবছরের মার্চ, এপ্রিল ও মে মাসে ব্যাপক কমেছিলও। তবে জুন থেকে ধারাবাহিকভাবে বাড়ছে।

অবশ্য বিদেশে শ্রমিক যাওয়া একেবারে কমে যাওয়া, বিদেশে অনেকে কর্মহীন হয়ে পড়া এবং কাজ হারিয়ে দেশে ফেরায় কতদিন আর রেমিট্যান্সের এ ধারা বজায় থাকবে, তা নিয়ে অনেকের মধ্যে সংশয় রয়েছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, চলতি অর্থবছরের জুলাই-এপ্রিল ১০ মাসে প্রবাসীরা মোট ২ হাজার ৬৭ ডলার সমপরিমাণ অর্থ দেশে পাঠিয়েছেন। আগের বছরের একই সময়ে এসেছিল এক হাজার ৪৮৭ কোটি ডলার। এ হিসেবে আগের অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় চলতি অর্থবছরের ১০ মাসে রেমিট্যান্স বেশি এসেছে ৫৮০ কোটি ডলার বা ৩৯ শতাংশ।

সংশ্লিষ্টরা জানান, রেমিট্যান্স বৃদ্ধির মানে প্রবাসীরা সবাই খুব ভালো আছেন, তেমন নয়। বিদেশে অনেকে চাকরি হারিয়ে দেশে ফিরেছেন। বিদেশে অনেকের আয় কমেছে। সরকারের ২ শতাংশ প্রণোদনার ফলে আগে অবৈধ চ্যানেলে অর্থ পাঠাতেন এরকম অনেকে এখন ব্যাংকের মাধ্যমে পাঠাচ্ছেন। এছাড়া কেউ কেউ জমানো অর্থ নিয়ে দেশে ফেরাসহ নানা কারণে রেমিট্যান্স বাড়ছে।