এবার কুষ্টিয়ায় একই ব্যক্তিকে একাধিকবার ভ্যাক্সিন দেওয়ার ঘটনা ঘটলো!

0
এবার কুষ্টিয়ায় একই ব্যক্তিকে একাধিকবার ভ্যাক্সিন দেওয়ার ঘটনা ঘটলো!

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে এক ব্যক্তিকে ৩বার টিকা দেওয়া হয়েছে এমন ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই এবার কুষ্টিয়ায় ১০ মিনিটের ব্যবধানে একই ব্যক্তিকে দুবার করোনার টিকা দেয়ার ঘটনা ঘটেছে বলে জানা গেছে। গত বৃহস্পতিবার দুপুরে কুষ্টিয়ার খোকসা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এ ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, খোকসা উপজেলার বুজরুক মির্জাপুর গ্রামের বাশারুজ্জামান ( ৩৮) বৃহস্পতিবার দুপুরে টিকার কার্ড নিয়ে খোকসা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের নির্ধারিত কক্ষে টিকা নেয়ার জন্য যান। এ সময় কর্তব্যরত নার্স শারমিন তাকে টিকা ১ ডোজ টিকা দেন। এর ১০ মিনিট পর তিনি পুনরায় ওই কক্ষে গেলে ওই একই নার্স শারমিন তাকে দ্বিতীয় দফায় আবারো টিকা দিয়ে দেন।

এ বিষয়ে টিকা গ্রহণ কারী বাসারুজ্জামানের সাথে কথা বললে তিনি জানান, তিনি টিকা গ্রহণের নিয়ম জানেন না। কাগজ নিয়ে টিকা কেন্দ্রে যাওয়ার পর সেখানকার কর্তব্যরত নার্স তাকে জামা খুলতে বলেন। তিনি জামা খোলার পর নার্স তাকে টিকা দেন। কিন্তু না বুঝে দশ মিনিট পর তিনি আবারও লাইনে দাঁড়ালে নার্স তাকে পুনরায় দ্বিতীয় দফা টিকা দিয়ে দেন। পরবর্তীতে সন্দেহ হলে বাসার নার্সদের জিজ্ঞাসা করেন এই টিকা পরপর দুইবার নিতে হয় কি-না? তখনই এই দুইবার টিকা নেওয়ার বিষয়টি সবার নজরে আসে। এ সময় তিনি প্রচণ্ড ভয় পেয়ে গেলে তাকে জানানো হয় এতে তার কোনো সমস্যা হবে না।

এ বিষয়ে খোকসা উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মো. কামরুজ্জামান সাংবাদিকদের জানান, এটা একটা ভুল বুঝাবুঝির ফলে হয়েছে। তিনি একবার টিকা নিয়েছেন অথচ নার্সদের সেটা জানাননি। আর এর জন্য তিনিই দায়ী। তবে দুবার টিকা দেয়া হলেও তার কোনো সমস্যা হবে না বলেও জানান তিনি।

তবে স্থানীয়রা এ ঘটনার জন্য স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্তব্যরত ব্যক্তিদেরকেই দায়ী করেছেন। এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে কুষ্টিয়ার সিভিল সার্জন ডাক্তার এইচ এম আনোয়ারুল ইসলাম জানান, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের গাফিলতির কারণেই এমন অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনাটি ঘটেছে। তাই কর্তৃপক্ষের এ ঘটনার দায় এড়াতে পারবে না। এ বিষয়টি জানার সঙ্গে সঙ্গেই সংশ্লিষ্টদের সকলকে মৌখিকভাবে কড়া সতর্ক করে দেয়া হয়েছে।

তিনি আরও জানান, হাসপাতালে টিকা গ্রহণের জন্য অনেক নিরক্ষর মানুষই আসবে। তবে তাদেরকে কাঙ্ক্ষিত সেবা দেয়া হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দায়িত্ব এবং কর্তব্যের মধ্যে পড়ে। এর ব্যত্যয় ঘটার কোনো প্রকার সুযোগ নেই।