ত্রিদেশীয় সিরিজের ফাইনালে পাওয়া আঙুলের চোট থেকে এখনো মুক্তি মেলেনি সাকিবের। ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরের শেষ দিকে পুরোনো চোটটা তাঁকে বেশ ভুগিয়েছে। বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার তবুও নিজেকে গুটিয়ে নেননি, খেলেছেন চোট ‘ম্যানেজ’ করে। কিন্তু এভাবে ধারাবাহিক খেলে যাওয়া তো কঠিন।
বিসিবির চিকিৎসক দেবাশীষ চৌধুরী কদিন আগে বলছিলেন, সাকিব এই চোট বয়ে বেড়াচ্ছেন ছয় মাস ধরে। মূলত তিনি সমস্যা অনুভব করছেন ব্যাটিংয়ের সময়। চোট থেকে পুরোপুরি সেরে না ওঠায় ব্যাটিংয়ে সাকিব শতভাগ দিতে পারছেন না। চোটের সমাধানে সাকিবকে মাঝে অস্ট্রেলিয়ার একজন শল্যবিদের কাছেও পাঠানো হয়।
এতে ব্যথা কিছুটা কমলেও সমস্যাটা থেকেই গেছে। অস্ট্রেলীয় শল্যবিদের পরামর্শ অনুযায়ী সাকিবকে স্বল্প মেয়াদে ইনজেকশন দেওয়া হয়েছে, যেটি দীর্ঘ মেয়াদে খুব একটা কাজে আসবে না।
জানা যায়, বাংলাদেশ দল ফ্লোরিডায় থাকার সময়ও সেখানকার এক চিকিৎসকের পরামর্শে ইনজেকশন নিয়ে খেলেছেন সাকিব। ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করেই তাঁর অস্ত্রোপচার জরুরি হয়ে পড়েছে। কিন্তু এই অস্ত্রোপচার হবে কবে? এশিয়া কাপের আগে না পরে? এশিয়া কাপের আগে হওয়া মানে সাকিবের এই টুর্নামেন্ট খেলা হবে না। পুরোপুরি ফিট হয়ে উঠতে তাঁকে মাঠের বাইরে থাকতে হবে দুই মাস।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফর শেষে সাকিব আজ বিমানবন্দরে নিজেই বললেন, অস্ত্রোপচারটা তিনি এশিয়া কাপের আগেই করার পক্ষে, ‘আমরা সবাই জানি যে সার্জারি করতে হবে। আলোচনা হচ্ছে, কোথায় করলে ভালো হয়, কবে করলে ভালো হয়। তবে আমি মনে করি, যত তাড়াতাড়ি সম্ভব করে ফেলা ভালো। খুব সম্ভবত এশিয়া কাপের আগেই হবে।’
এশিয়া কাপের আগে কেন দরকার, সেটির যুক্তিও দিলেন বাঁহাতি অলরাউন্ডার, ‘হওয়া উচিত কারণ, চাই না যে পুরোপুরি ফিট না হয়ে খেলতে। এভাবে যদি চিন্তা করি, এশিয়া কাপের আগে হবে, এটাই স্বাভাবিক।’