ককটেল বিস্ফোরণ ও হাতাহাতির মধ্যদিয়ে পণ্ড ছাত্রলীগের সম্মেলন

স্লোগানকে কেন্দ্র করে উত্তর জেলা ছাত্রলীগের সম্মেলনে চেয়ার ছোড়াছুড়ি ও ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। মঙ্গলবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) বেলা সোয়া ১২টার দিকে নগরীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে ভেতরে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় সম্মেলন মঞ্চে বক্তব্য দিচ্ছিলেন কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি সাকিব হোসেন সুইম। মঞ্চে এ সময় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও গণপূর্তমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন।

বিশেষ অতিথি ছিলেন কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ এমপি, উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী এমপি, সাধারণ সম্পাদক ও চট্টগ্রাম জেলা পরিষদের প্রশাসক এমএ সালাম, মাহফুজুর রহমান মিতা এমপি, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এসএম জাকির হোসেন প্রমুখ।

দলীয় সূত্রে জানা যায়, সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে যাচাই-বাছাই করে ৬০ জনের মতো পদ-প্রত্যাশীর নাম চূড়ান্ত করেছেন। সম্মেলনে জেলা ছাত্রলীগের ৯টি ইউনিট থেকে ২২৫ জন এবং জেলার কার্যনির্বাহী কমিটির ১৪১ জন সদস্যসহ মোট ৩৬৬ জন কাউন্সিলর ব্যালটের মাধ্যমে দুটি পদে নেতৃত্ব নির্বাচনের কথা ছিল। সর্বশেষ বখতিয়ার সাঈদ ইরান ও আবু তৈয়বের নেতৃত্বাধীন ১৪১ সদস্যের ছাত্রলীগের বর্তমান কমিটি ২০১১ সালের ৬ জানুয়ারি ঘোষণা কর‍া হয়েছিল।

উত্তর জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. আবু তৈয়ব সাংবাদিকদের জানান, সম্মেলন মঞ্চে যখন জামায়াত শিবিরের বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়ার বক্তব্য রাখছিলেন কেন্দ্রীয় নেতারা। তখনই বহিরাগতরা শান্তিপূর্ণ সম্মেলনে বিশৃঙ্খলা করেছে। জামায়াত-শিবিরের কর্মীরা সম্মেলনে ঢুকে ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটিয়েছে বলেও জানান এ নেতা।